সোমেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ রাহুল-গেহলট-অধীরের, সমবেদনা জানালেন মমতা
বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান ৭৮ বছর বয়সী সোমেন মিত্র। তাঁর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল গোটা রাজনৈতিক মহল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত কংগ্রেসের ‘ছোড়দা’। রেখে গেলেন রাজ্য রাজনীতির এক বিশাল অধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান ৭৮ বছর বয়সী সোমেন মিত্র। তাঁর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল গোটা রাজনৈতিক মহল। শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ দিন টুইটে তিনি লেখেন, সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার এবং পরিজনদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ভালবাসা এবং সম্মানের সঙ্গে তাঁকে আমরা চিরদিন মনে রাখবো।
সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে জাতীয় স্তরে শোক প্রকাশ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, রাজ্যসভার সাংসদ কে সি বেণুগোপাল, মণিপুরের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গৈখংগম-সহ আরও অনেকে। দিল্লি কংগ্রেসের টুইটার পেজ থেকে সমবেদনা জানানো হয়েছে।
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, সোমেন মিত্র আর নেই এটা ভাবতে পারছিনা, বাংলার একটা অধ্যায় সমাপ্ত হলো। সংগ্রাম করে, প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, আমাকে জনপ্রতিনিধি করার মূল কারিগর সোমেন দাকে হারিয়ে আমি দুঃখে কাতর ও বেদনাহত হলাম।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শোকবার্তায় জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুর খবর তাঁকে মর্মাহত করেছে। তাঁর পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, "সোমেন মিত্র, একজন দারুণ মানুষ হিসেবে তাঁকে আমরা দেখেছি। রাজনীতিবিদ হিসাবে দেখেছি এবং সোমেন মিত্রকে অনেক কাছ থেকে দেখার এবং তাঁর সঙ্গে মেশার সুযোগ পেয়েছি। যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক নক্ষত্র পতন আজ ঘটল। যে ক্ষতি পূরণ হবার নয়।"
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর রাজনৈতিক জীবন:
# ১৯৭২ থেকে ২০০৬সাল শিয়ালদহ আসন থেকে একাধিকবার বিধায়ক নির্বাচিত হন
# ২০০৮ সাল প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গঠন করেন।
# ২০০৯ সাল ইন্দিরা কংগ্রেস যুক্ত হয় তৃণমূলের সঙ্গে।
# তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯ সালে সোমেন মিত্র ডায়মণ্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদও হন।
# ২০১৪ সালে ফের কংগ্রেসে ফেরা।
আরও পড়ুন: শেষ হল এক অধ্যায়ের, প্রিয় 'ছোড়দা'কে হারাল কংগ্রেস!