নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সোনভদ্রে গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। মির্জাপুরের কাছেই ধর্নায় বসে যান তিনি। এরপর তাঁকে আটক করে যোগীর পুলিস। আজ, সকালে বারণসী বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকেও আটক করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুনীল মণ্ডল এভং আবীর বিশ্বাসের ওই তিন সদস্যের দল আজ নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু যোগীর রাজ্যে পা দিতেই তাঁদের আটক করা হয় বলে অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বারাণসী বিমানবন্দর থেকেই ভিডিয়ো-বার্তা দিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ানের অভিযোগ, তিন জন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁদেরকে কীভাবে ১৪৪ ধারায় আটক করা হয়। সোনভদ্র ঘটনায় আহতদের দেখতে বিএইইউ ট্রমা সেন্টারে পরিদর্শন করবেন তাঁরা। উত্তর প্রদেশের এডিএম, এসপি কোন ধারায় তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, প্রশ্ন তোলেন ডেরেক। পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করেই তাঁরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আশ্বস্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের আবেদনে পুলিস কর্ণপাত করেনি বলে তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ। উপর মহলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিস বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।



উল্লেখ্য, গতকাল প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল সোনভদ্রে। কিন্তু তাঁদের মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়। সেখানেই ধরনায় বসেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, “নিহত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। মাত্র ৪ জন নিয়ে দেখা করতে যাওয়ার কথা পুলিসকে বলা হয়। প্রশাসন এরপর বাধা দেয়। কেন তাদেরকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ব্যাখ্যা দিতে হবে প্রশাসনকে। না হলে এখানেই ধরনায় বসা হবে।” পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে আটক করে পুলিস ভ্যানে তোলা হয়। প্রিয়ঙ্কা জানান, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানি না। যেখানে খুশি নিয়ে যাক, আমরা তা প্রস্তুত। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী পুলিসের ভূমিকা তীব্র নিন্দা করেন। উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত অসমে বাঙালি হত্যাকাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে গেলে, শিলচর বিমানবন্দের বাধা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সরকার।


আরও পড়ুন- সাতসকালে মুম্বইয়ের ঘাড়ের কাছে ভূমিকম্প, ২৪ ঘণ্টায় ফের কেঁপে উঠল অরুণাচল প্রদেশ


বুধবার ৩৬ একর একটি জমিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। গ্রামের সরপঞ্চ ২০০ জন লোক ও ৩৬টি ট্রাক্টর নিয়ে ওই জমিতে চাষ দিতে আসেন। এতে বাধা দেন এলাকার উপজাতিরা। এতই গুলি চালিয়ে দেন ওই সরপঞ্চের লোকজন। মারাত্মক আহত হন ২৪ জন। এখনও প্রর্যন্ত ওই গুলিচালনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে সরপঞ্চকে।