নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হারার পর বিরোধী ঐক্য নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। তবে এর সঙ্গে বিরোধী ঐক্যের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন না সনিয়া গান্ধী। তাঁর কথায়, ''হার-জিত তো লেগেই থাকে''। বিরোধী ঐক্য কি ক্রমশ ভঙ্গুর হচ্ছে? সনিয়া জবাব, 'একেবারেই না'।  



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরোধীদের চেষ্টা সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে অসমর্থ হয়েছে কংগ্রেস। এনডিএ জোটের প্রার্থী হরিবংশ নারায়ণ সিংকে নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১২৫টি ভোট পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী বিকে হরিপ্রসাদ পেয়েছেন ১০৫টি। ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন  আম আদমি পার্টির দুই সদস্য। সনিয়া গান্ধী বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরেনি দাবি করলেও ফল তার ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বরং প্রত্যাশার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে বিরোধীরা। ওডিশার বিজেডির সাংসদরাও এনডিএ-কে ভোট দিয়েছেন। এমনকি ফেডারেল ফ্রন্টে নিয়ে যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন, সেই কেসিআরের দলও ভোট দিয়েছে এনডিএ প্রার্থীকে। এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী জোটে দেখা গিয়েছিল আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সেই কেজরির সাংসদরা ভোটের আগে কক্ষত্যাগ করেছেন। আপ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করতে পারেন রাহুল গান্ধী, অথচ কেজরিওয়ালকে ফোন করার সময় নেই তাঁরা কাছে।                    


এনডিএ-র জেডিইউ সাংসদ ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, রাজ্যসভার নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাসনের জন্য হরিবংশ নারায়ণ সিংকে অভিনন্দন। 


জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে হরিবংশকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ''গোটা রাজ্যসভার তরফ থেকে ওনাকে শুভেচ্ছা জানাই আমি। অসাধারণ লেখনী ক্ষমতা ওনার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর জি-র প্রিয় ছিলেন উনি''। হাসির ছলে মোদী আরও বলেন, ''এবার হরির ভরসাতেই চলবে রাজ্যসভা অধিবেশন। দুই পক্ষেই হরি ছিলেন। কিন্তু একজন বিকে, অন্য জন নন''।  রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদও অভিনন্দন জানান হরিবংশ নারায়ণ সিংকে। তাঁর কথায়, ''আশা করি, বিরোধীদের কথা শুনবেন নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান। পক্ষপাতিত্ব করবেন না''।             




২০১৮ সালের জুন মাসে মেয়াদ শেষ হয় পিজে ক্যুরিয়েনের। তারপর থেকেই রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদটি খালি। 


আরও পড়ুন- মোদীর সভা বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে কলকাতায় অমিতের সভায় ড্রোন চাইছে বিজেপি