নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতকালীন অধিবেশনের মুখে বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। বিহারের রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএলএসপি) সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা সোমবার নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। নয়াদিল্লির একটি সূত্র থেকে এমনই খবর মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে তিনি এনডিএ-র বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অস্বীকার করেন। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন: বাজার খুলতেই সেন্স হারালো সেনসেক্স, দর কমল টাকার, ব্যাপক পতন বিশ্ব বাজারেও


প্রসঙ্গত, সংসদের যেকোনও অধিবেশনের আগে যেমন একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়, তেমনই শাসক ও বিরোধী পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলাদা-আলাদাভাবে বৈঠক করে। সেই প্রথা মেনেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে ডাকা হয়েছে এনডিএ-র বৈঠক। সোমবার কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা জানিয়ে দেন তিনি ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না।


তিনি এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন, এমন জল্পনা বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে। গত বৃহস্পতিবার এই জল্পনা সবচেয়ে জোরদার হয়েছিল। যেদিন দলের কর্মীদের সঙ্গে একটি প্রকাশ্য বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি ঘোষণা না করলেও সোমবার সেই ঘোষণা করতে পারেন এনডিএ ছাড়ার কথা। একই সঙ্গে তিনি এদিনই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। 


এমনটা এদিন সকালেই জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এনডিএ-র বৈঠকে যেতে অস্বীকার করার পরই মন্ত্রিত্ব থেকে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। এখন দেখার কখন তিনি এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করেন।


 



নরেন্দ্র মোদীর সরকারে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কুশওয়াহার সঙ্গে মূলত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধ বেঁধেছে। তাঁর তরফে বিহারে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর জোট নিয়ে বারবার আপত্তি তোলা হয়েছে। 


কুশওয়াহার দলের সাংসদের সংখ্যা তিন। ফলে তাঁরা বেরিয়ে গেলে এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হবে না। কিন্তু ধাক্কা খাবে বিজেপি। কারণ, সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে আরও একটা জোট শরিক হারালে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হবে কেন্দ্রের শাসক দলকে।


আরও পড়ুন: কমিশনের নয়া নির্দেশিকা, মঙ্গলবার ৫ রাজ্যে ভোটের ফলপ্রকাশে দেরি হতে পারে অনেকটাই


তাত্পর্যপূর্ণভাবে ২০১৪ সালে যখন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সব মিলিয়ে সাংসদ ছিল ৩৩৬ জন। তার পর কখনও শরিক বিচ্ছেদ, কখনও ভোটে হার নানা কারণে কমেছে সেই সংখ্যা। সব শেষে তা পৌঁছেছে ৩১০-এ। এবার সেই সংখ্যা আরও কমার পরিস্থিতি তৈরি হল।