নিজস্ব প্রতিবেদন:  উত্তরপ্রদেশে খোদ যোগীর গড়েই উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। ফুলপুরেও দলের রথ মুখ থুবড়ে পড়েছে। অপ্রত্যাশিত ও লজ্জার এই পরাজয়ের কারণ খুঁজতে এতদিন ব্যস্ত ছিল বিজেপি। তবে দলের হারের পেছনে যে সমাজবাদী ও বহুজন সমাজ পার্টি জোটের ভূমিকা রয়েছে তা কবুল করে নিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোরক্ষপুর ও ফুলপুর উপনির্বাচনে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘সপা ও বসপা শেষ মুহূর্তে সমঝোতা করে ফেলাতেই ওই দুটি আসন হারিয়েছে বিজেপি।’ তাহলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও যদি উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট হয় তাহলে কি ভরাডুবি হবে গেরুয়া শিবিরের? অমিত শাহের উত্তর, ‘অতটা সহজ হবে না। মিডিয়া দুটো আসনের ফলাফল নিয়ে হইচই করছে। কংগ্রেস, সংসদ চত্বরে লাড্ডু বিলি করেছে। কিন্তু কেউ বলছে না দেশের ১১টি রাজ্যে ওদের আমরা হারিয়েছি। কেউ ত্রিপুরা নিয়ে কোনও কথা বলছে না।’


আরও পড়ুন-পথ দুর্ঘটনায় আহত মহম্মদ শামি, মাথায় চোট


উত্তরপ্রদেশের দুটি আসনের উপনির্বাচনে হারের পিছনে বিজেপির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই দায়ী করেছিল অনেকে। এতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যায় দল। এদিন সেই প্রসঙ্গটি সযত্নে এড়িয়ে যান অমিত শাহও। তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনে লড়াই হয় আঞ্চলিক ইস্যুগুলির উপরে ভিত্তি করে। কিন্তু লোকসভার মতো বড় নির্বাচনে ইস্যুই আলাদা। সেখানেই দেখা যাবে।’


সম্প্রতি এনডিএ ছেড়েছে তেলুগু দেশম পার্টি। শিবসেনার মতো জোটসঙ্গীও জোট ছাড়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। ফলে ক্রমশ চাপ বাড়ছে বিজেপির উপরে। কিন্তু বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি সভাপতি এদিন বলেন, ‘২০১৪ সালে ১১টি দল এনডিএতে যোগ দিয়েছিল। এদের মধ্যে একটি দল জোট ছেড়েছে। এতে এনডিএ জোটের কোনও ক্ষতি হবে না।’