ওয়েব ডেস্ক: এক বছরে যা হয়নি, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নিমেষেই তা করে ফেলল রাজ্য পুলিস। বছর গড়াতে চললেও কেতুগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুঁজে পায়নি পুলিস। খুঁজে পায়নি রায়নায় সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মীকেও। নির্বাচন কমিশনের চাপে গ্রেফতার করা হল ৪ অভিযুক্তকেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৫-র ২৬শে জানুয়ারি কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাদশা শেখকে দিনের আলোয় গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জাহের শেখ ও পূর্ত কর্মাধক্ষ্য জাহাঙ্গির শেখ সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে। ওই বছরই বাইশে এপ্রিল খুন হন এলাকার তৃণমূল কর্মী আপেল শেখ। এই ঘটনায় আরও অনেকের সঙ্গে খুনের মামলা দায়ের হয় সেই জাহের শেখ ও জাহাঙ্গির শেখের বিরুদ্ধেই।


বছর গড়িয়ে গেলেও জোড়া খুনে অভিযুক্ত ওই দুই নেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। স্থানীয়দের  দাবি, তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা বলেই তাদের গ্রেফতার করছিল না পুলিস। অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে পুলিস গ্রেফতার করল অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতাকে।


চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের রায়নায় রেশন কার্ডের সমস্য নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এসে খুন হন সিপিএম কর্মী স্বপন মালিক। আহত হন ২১ জন সিপিএম সমর্থক। স্বপন মালিকের হত্যায় অভিযুক্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু ধরা পড়েননি এলাকায় তৃণমূলের কাজের ছেলে হিসাবে পরিচিত শেখ ইসমাইল ও মোল্লা কারিমুল আলম। ভোটের মুখে তাদেরও গ্রেফতার করল পুলিস। ভোটের আগে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চই নয়। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ যে নেওয়া হবে, রায়না ও কেতুগ্রামের গ্রেফতারে তেমনই বার্তা দিল কমিশন। তাই ভোটের আগে বিশেষ তত্‌পর হয়েছে পুলিস।