নতুন দল গড়ুন কিংবা অন্য দলে চলে যান, কপিল সিব্বলকে সাফ কথা অধীরের
সম্প্রতি এক সর্বভাতীয় সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাতকারে সিব্বল বলেন,কংগ্রেস ডুবতে বসেছে। আত্মসমীক্ষার সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন নেতাদের উচিত দলের এই পরিস্থিতি স্বীকার করে নেওয়া
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েকমাস আগে সাংগঠনিক স্তরে সংস্কারের দাবি তুলে দলে তোলপাড় করেছিলেন কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদরা। এবার বিহারে দলের শোচনীয় ফল নিয়ে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় অধীর চৌধুরীকে কোপে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সিব্বল।
আরও পড়ুন-কাল থেকে দায়িত্ব বন্টন, আজই জেলায় জেলায় পঞ্চপাণ্ডব
বিহার নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কপিল সিব্বলের প্রকাশ্য সমালোচনায় তেতে উঠলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এভাবে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার কোনও মানে হয় না। কিছু নেতা যদি মনে করেন কংগ্রেস তাদের জন্য আদর্শ দল নয় তাহলে তারা নতুন দল তৈরি করুন কিংবা এমন কোনও দলে যোগ দিন যাকে তাঁদের ঠিকঠাক দল বলে মনে হয়। কিন্তু এভাবে দলকে বারবার বিড়ম্বনায় ফেলা উটিত নয়। কারণ কিছু নেতার এই ধরনের কার্যকলাপ দেশে দলের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিচ্ছে।
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, 'ওইসব নেতারা গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ। তাঁরা তাঁদের অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তুলতে পারেন। ওইসব নেতারা যদি দলের পুনর্গঠনে মনযোগী হতেন তাহলে তাঁরা মাঠে এসে তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করুন। বিহার নির্বাচনে এরা মাঠে নেমেছিলেন কি!'
কেন কপিল সিব্বলের ওপরে একটা ক্ষুব্ধ অধীর
উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের ৭০ আসনে তারা প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে তারা মাত্র ২০ আসন বের করতে পেরেছে। এনিয়ে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে তেজস্বী যাদবের পার্টিতে। দলের নেতাদের যুক্তি, ওইসব আসন আরজেডি নিজে লডাই করলে আরও কয়েকটি আসন চলে আসতো এবং সরকার গঠনের পথে আর কোনও বাধা থাকত না।
আরও পড়ুন-কুপওয়ারায় সেনা পোস্টের ওপরে হুড়মুড়িয়ে নেমে এল তুষার ধস; নিহত ১ জওয়ান, জখম ২
বিষয়টি নিয়ে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। সম্প্রতি এক সর্বভাতীয় সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাতকারে সিব্বল বলেন,কংগ্রেস ডুবতে বসেছে। আত্মসমীক্ষার সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন নেতাদের উচিত দলের এই পরিস্থিতি স্বীকার করে নেওয়া। কংগ্রেসে এনিয়ে কথা বলার কোনও জায়গা নেই । তাই প্রকাশ্যে বলতে হচ্ছে। বিহারে দলের হার সম্পর্কে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও কিছু বলেনি। বোধ হয় নেতৃত্ব মনে করেছে অল ইজ ওয়েল। যেমন চলছে চলুক।
সিব্বলের ওই মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি বলেন, দলের ভেতরের সমস্যা এভাবে প্রকাশ্যে তুলে ধরা ঠিক নয়। এবার অধীর আরও কড়া কথা শোনালেন সিব্বলকে।