Uttar Pradesh: শিক্ষিকাদের শৌচাগারে স্পাই ক্যামেরা দিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং! ধৃত নয়ডার স্কুলমালিক...
Uttar Pradesh: অভিযোগকারিণীর দাবি, এর আগেও স্কুলের শৌচাগারে একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। তখনও ক্যামেরা হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি কোনরকমের পদক্ষেপ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লুকিয়ে রাখা স্পাই ক্যামেরা। বাল্ব সকেটের ভেতরে খুব বুদ্ধিমানের সঙ্গে লুকিয়ে রাখাছিল ক্যামেরাটি। কিন্তু কোথায়? জায়গা শিক্ষিকাদের শৌচাগার! সেখান থেকেই চলত লাইভ স্ট্রিমিং। পুলিস সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর স্কুলের শৌচাগারে একটি বাল্বের সকেটের দিকে নজর যায়। সেই মুহূর্তেই একটি অচেনা লাইট তিনি দেখতে পান। সেই আলোই সন্দেহের দানা বাঁধে। বাল্বের সকেট খোলা মাত্রই চোখের সামনে আসল ওই স্পাই ক্যামেরাটি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীকে জানানো হয়। এরপর ওই শিক্ষিকা যান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ শোনার পরেও কোনরকমের পদক্ষেপ করেননি ডিরেক্টর নবনীশ সহায় এবং কো-অর্ডিনেটর পারুল। উল্টে নাকি দুটো বাজে কথা শুনিয়ে দেওয়া হয় ওই শিক্ষিকাদের।
আরও পড়ুন: One Nation One Election: 'এক দেশ এক ভোট' বিলে লোকসভায় ভোটাভুটি! জয় কেন্দ্রেরই...
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে যান থানায়। নয়ডা (সেন্ট্রাল) ডিসিপি শক্তিমোহন অবস্তি সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিস যখন স্কুলমালিককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন সব সত্যি স্বীকার করেন তিনি। শিক্ষিকাদের শৌচাগারে ক্যামেরা বসিয়েছেন তিনি নিজেই। এবং এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন স্কুলের আরেক কর্তৃপক্ষ। পুলিসকে তিনি আরও জানান, ২২ হাজার টাকা দিয়ে সেই স্পাই ক্যামেরা কিনেছিলেন তিনি। নবনীশ ওই ক্যামেরা দিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং ফুটেজ সংগ্রহ করতেন। শিক্ষিকাদের শৌচাগারে গেলে তার দৃশ্য দেখতেন মোবাইল এবং ল্যাপটপে। স্কুলমালিকের ওই স্বীকারোক্তি শোনার পর কার্যত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান তদন্তকারীরাও।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগকারিণীর দাবি, এর আগেও স্কুলের শৌচাগারে একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। তখনও ক্যামেরা হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি কোনরকমের পদক্ষেপ। আপাতত তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিস।