নিজস্ব প্রতিবেদন: স্রেফ ৩৭০ ধারা বিলোপ নয়, মোদি জমানায় রাজ্যের মর্যাদাও হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। এই নিয়ে লোকসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, 'যখন কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা পাবে। সঠিক সময়ে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা বিলোপ করা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। তার উপর আবার রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah), মেহবুবা মুফতিরা (Mehbooba Mufti)। একসময়ে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। সম্প্রতি সাংসদ পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্যসভায় কেঁদে ফেলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেই গুলাম নবি আজাদও কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন। 


আরও পড়ুন: Bihar-এ প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক বাড়ির একাংশ ভাঙল প্রশাসন, রাজনৈতিক চক্রান্ত?


এদিন জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া ও ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সরকারের কাছে জানতে চান,  রাজ্য ভাগ ও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কী এমন উন্নতি হয়েছে কাশ্মীরের? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) পাল্টা জবাব, ‘‘মাত্র ১৭ মাস হয়েছে রাজ্য বিভক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এত প্রশ্নের অর্থ কী? প্রশ্ন তো তাঁদের করা উচিত, যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাশ্মীরে শাসনভার সামলেছেন। ৭০ বছরে কতটুকু উন্নতি হয়েছে? আমি কাশ্মীরের উন্নতির খতিয়ান দিতে দায়বদ্ধ। কিন্তু যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা নিজেদের একবার প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, তা হলেই পাল্টা প্রশ্নের গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্ট হবে।’ কেরলের সাংসদ  এমপি প্রেমচন্দ্র যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি ও সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর দাবি তোলেন, তখন সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই কাশ্মীর ইস্যুতে রাজনীতি না করার অনুরোধ করেন শাহ।