নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের বন্যা পরিস্থিতি হেলিকপ্টারে পর্যবেক্ষণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাত্ক্ষণিক ৫০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন। সে জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন বলেন, ''আকাশ পথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। খারাপ আবহওয়ার কারণে সব জায়গায় আমাদের হেলকপ্টার পৌঁছয়নি। সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উনি। ওনাকে ধন্যবাদ। উদ্ধারকাজ চালাতে আরও নৌকো ও হেলিকপ্টার চেয়েছি''। 




COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 কংগ্রেসের দাবি, কেরলে ২০০০-৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হোক।


 



শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বিভিন্ন রাজ্যের তরফেও এসেছে সাহায্য। ১০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। 



মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন নীতীশ কুমার। 



১৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 



গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ১০ কোটি টাকার অর্থ সহযোগিতার ঘোষণা করেছেন। ২০ কোটি টাকা তাত্ক্ষণিক অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। কেরলকে ৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডও।





৫ কোটির আর্থিক সাহায্য ও নৌকো-সহ ২৪৫ জন অগ্নিনির্বাপণ আধিকারিককে পাঠানোর ঘোষণা করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। 



দেশের আবহওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৬ অগস্ট পর্যন্ত ৬১৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কেরলে। সাধারণত এই মরসুমে ২৪৪.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ফলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে দ্বিগুণ বর্ষণ হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। তবে আশার কথা, আগামী দুদিন খুব ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। ভারী বৃষ্টি হতে পারে। 



কেরলে এখনও পর্যন্ত ৩২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তিন বাহিনীই উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে। আকাশপথে দুর্গতদের উদ্ধার করছে সেনা। দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে আরও হেলিকপ্টার চেয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন।



জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৭০০ দুর্গতকে উদ্ধার করা হয়েছে। জলে আটকে রয়েছে আরও ৬ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই সেনার ১০ কলাম পাঠানো হয়েছে কেরলে। মোতায়েন করা হয়েছে ৭৯০জনের ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাক ফোর্স। নৌসেনার ৮২টি দল কাজ করছে। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪২টি দলকে।


আরও পড়ুন- দলের আঁতুরঘর অশোক রোডে ফেরা হল না বাজপেয়ীর!