নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে ফেরানো সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার ইস্যুটি তুলে ধরল দেশের একাধিক রাজ্য সরকার। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের একাধিক দীর্ঘ বাস যাত্রায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রতিকূলতার বিষয়টি জানায়। বেশি দূরত্বের জন্য বিশেষ ট্রেনে শ্রমিকদের ফেরানো যায় কিনা সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যগুলি আর্জি জানিয়েছে বলে খবর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবারই কেন্দ্র জানায় লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে পারবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। কিন্তু যাতায়াতের মাধ্যম হতে হবে কেবলমাত্র সড়ক পথ। অর্থাৎ বিশেষ বাস আয়োজন করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের। নিয়মমাফিক বাসে অর্ধেকের বেশি সিট খালি রেখে ফাঁকায় ফাঁকায় বসাতে হবে তাঁদের।


এদিন কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরে একাধিক রাজ্য সরকার। তারা জানায় কিছু কিছু রাজ্যের কয়েক লক্ষ শ্রমিক বহু দূরের ভিন রাজ্যে আটকে গিয়েছেন। বিশেষত দক্ষিণের রাজ্যগুলির পক্ষে উত্তরের রাজ্যগুলি থেকে সড়কপথে হাজার হাজার শ্রমিক বাসে করে ফেরানো বেশ কঠিন। অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যগুলি থেকে দক্ষিণের কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু ইত্যাদি রাজ্যে বাসে করে লক্ষাধিক শ্রমিক ফেরানো অসাধ্য সাধনের সামিল।


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানান তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন। এই বিষয়টি আগে তুলে ধরেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী। তিনি টুইট করে কেন্দ্রকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর আর্জি জানান। 


তামিলনাড়ু জানায় তাদের প্রায় ৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক উত্তরের রাজ্যগুলিতে রয়েছেন। বাসে করে এতজনকে ফেরানো কার্যত অসম্ভব।


তার উপর পরিযায়ী শ্রমিকদের এলাকা ছাড়ার আগে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ভার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনের উপর। বাসে করে ফেরাতে গেলে এত বড় সংখ্যক মানুষকে এক এক করে পরীক্ষা করা বাস্তবোচিত নয়। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে সওয়াল করেন একাধিক রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: নকল আরোগ্য সেতু অ্যাপ বানিয়ে ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি চালাচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচররা