নিজস্ব প্রতিবেদন- গ্রামে ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল। তাই গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটি টিলার উপর বসে ইন্টারনেট কানেকশনের খোঁজ করতেন দুই বন্ধু। করোনার জন্য এখন আর কলেজে যাওয়া হয় না। ক্লাস হয় অনলাইনে। আর তাই স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে দুই বন্ধুকে রোজই যেতে হয় গ্রামের অদূরে সেই টিলায়। অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে প্রথম বর্ষের ছাত্র গোবিন্দ ও তাঁর বন্ধু ভাবিন গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে টিলার উপর গিয়েছিলেন অনলাইন ক্লাসে। ক্লাস চলাকালীন একটি চিতাবাঘ পেছন থেকে আক্রমণ করে। গুরুতর জখম হন গোবিন্দ। গুজরাটের দক্ষিণাংশের তাপি জেলার ঘটনা। সেখানে খাপাতিয়া গ্রামে এক ছাত্র চিতা বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছেন। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোবিন্দের বাঁ হাতে কামড় বসিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চিতাবাঘটি। ঘটনার আকস্মিকতায় দুই বন্ধু হতভম্ব হয়ে যাযন। গোবিন্দ বলছিলেন, ''পেছন থেকে এসে আমার বাঁ হাতে কামড় বসিয়ে দেয় চিতাবাঘটি। তারপর আমাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমার বাঁ হাতে সাতটি সেলাই পড়েছে। আমাদের গ্রামের আশেপাশে চিতাবাঘের হানা নতুন কিছু নয়। তবে মানুষের ওপর আক্রমণ তেমন একটা হয় না। আমি পেছন ফিরে চিতাবাঘটির দিকে তাকাইনি। তাহলে হয়তো সেটি আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে টুঁটি চিপে ধরত। আমার বন্ধুকে ইশারায় বলি, গ্রামে গিয়ে লোকজনদের ডাকতে। ও সেটাই করে। গ্রামের লোক হট্টগোল শুরু করার পর চিতাবাঘটি আমাকে ছেড়ে কাছের একটি ঝোঁপে লুকিয়ে পড়ে।''


গোবিন্দকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার বাঁ হাতে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁরা ঠিক করেছেন, এবার থেকে ওই টিলার উপর অনলাইন ক্লাস করতে গেলে আট, দশজন মিলে যাবেন। এবং সঙ্গে লাঠি রাখবেন। ইতিমধ্যে গ্রামের লোকজন আশেপাশে চারটি খাঁচা পেতেছেন। চিতাবাঘটি ধরা পড়লে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।