নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষার অধিকার আইন অনু‌যায়ী এতদিন তা করা ‌যেত না। এবার তা ‌যাবে। ফিরছে পাস ফেল প্রথা। এবার সরকারি ভাবে। এখন থেকে কোনও পড়ুয়াকে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বা দুই শ্রেণিতেই আটকানো ‌যেতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার লোকসভায় পাস হল শিক্ষার অধিকার আইনের সংশোধিত ১৬ ধারা। এবার ফেল করতে পারে পড়ুয়ারা। এরাজ্যে সিপিএম আমলেই পাস ফেল প্রথা তুলে দেওয়া হয়। ‌যুক্তি ছিল এতে গরিব ঘরের পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমছে। পাশাপাশি স্কুলছুটের সংখ্যাও বাড়ছে। এনিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামহল।


অারও পড়ুন-কেন এতদিন অধরা ছিল মজিদ খুনে মূল অভিযুক্ত মুন্না খান?


কী রয়েছে নতুন আইনে? সংশোধিত আইন অনু‌যায়ী কোনও পড়ুয়া ‌যদি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ফেল করে তাহলে নতুন করে তার পরীক্ষা নিতে হবে। সেই পরীক্ষাতেও সে ‌যদি ফেল করে তাহলে সরকার ঠিক করবে ওই পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে তোলা হবে কিনা। তবে বিলটির প্রধান বিষয় হল পাস-ফেল প্রথা ফেরানো হবে কি হবে না তা নির্ভর করবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধেন্তের ওপরে।


‘নো ডিটেনশন পলিসি’ বা পড়ুয়াকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি প‌র্যন্ত না আটকানোর নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল ‌যাতে পড়ুয়ারা কোনওভাবেই হতাশ না হয়ে পড়ে বা স্কুলছুট না হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এতে স্কুলছুটের সংখ্যা লক্ষনীয়ভাবে কমছে না। বরং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের মতে স্কুলগুলি এখন মিড ডে মিলের জায়গা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


অন্যদিকে, এতদিন অষ্টম শ্রেণি প‌র্যন্ত পাস ফেল প্রথা না থাকার ব্যাপারে ‌প‌র্যালোচনা করতে গিয়ে কোনও কোনও মহল থেকে এর বিরুদ্ধেই বলা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, পাস ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনার ইচ্ছে চলে ‌যাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদেরও পড়ানোর ইচ্ছে চলে ‌যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বলছেন পাস ফেল ফিরলে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়বে।


আরও পড়ুন-দেশের ‘কাপ্তান’ ইমরান, কোচের ভূমিকায় সেনা


পাস ফেল প্রথা ফেরানে নিয়ে লোকসভায় এক বিতর্কে অংশ নিয়ে জাভরেকর স্পষ্ট করে দেন, কোনও পড়ুয়াকে আটকানো হবে কিনা তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার। কেন ক্লাসে আটকানো হবে তাও ঠিক করাবে সরকার। তবে শিক্ষকেদের প্রশিক্ষণ দেওয়া বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বিলটিকে অধিকাংশ রাজ্য সমর্থন করেছে।


মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা উল্টানো পিরামিডের মতো। ফলে এখানে প্রাথমিক শিক্ষার ওপরে খুব বেশি জোর দেওয়া হয় না। ফলে এখানের জোর দিতে চাইছে সরকার।