Sultanpuri Hit and Run Case:দিল্লির সুলতানপুরীতে তরুণীর ভয়ংকর মৃত্যু, ময়নাতদন্তে উঠে এল হাড়হিম করা তথ্য
দিল্লির ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট অনুযায়ী ঘাতক গাড়িটির সামনে বাঁদিকের চাকায় আটকে গিয়েছিল তরুণীর দেহ। বাঁদিকে চাকার আসেপাশে ও গাড়ীর নীচের দিকের একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় বছর কুড়ির এক তরুণীর ভয়ঙ্কর মৃত্যুর ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোট দেশকে। অঞ্জলী সিং নামে ওই তরুণীকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় একটি গাড়ি। তার স্কুটির সঙ্গে ওই গাড়িটির সংঘর্ষের পর তরুণীর পোশাক গাড়ির বাঁদিকে চাকায় আটকে যায়। সেই অবস্থায় তাকে ওই লম্বা রাস্তা টেনে নিয়ে যায় গাড়িটি। ময়না তদন্তের রিপোর্টে উঠে এল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য।
আরও পড়ুন-নয়ডায় বিটেকের ৩ ছাত্রীকে ধাক্কা মেরে উধাও বেপরোয়া গাড়ি, কোমায় ১ পড়ুয়া
ঘটনার পরই জানা সুলতানপুরী থেকে কুঞ্জাওয়াল পর্যন্ত যাওয়ার পর তরুণীর দেহে আর কোনও পোশাক ছিল না। শরীরের অধিকাংশ জায়গার মাংস খুবলে বেরিয়ে গিয়েছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্টে লেখা হয়েছে খুলির একটি বিরাট অংশ ফাঁকা, ভেতরে কোনও ঘিলুই নেই, পিঠের দিক থেকে পাঁজরের হাড় বেরিয়ে গিয়েছে, শিরদাঁড়া ভাঙা এবং গোটা শরীরে ৪০টি ক্ষত রয়েছে। নিহত তরুণীর ময়না তদন্ত হয়েছে দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ময়না তদন্তকারী চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ওই লম্বা রাস্তা টেনে নিয়ে যাওয়ার ফলে তরুণীর দেহের যেসব হাড় বেরিয়ে গিয়েছিল তা ঘর্ষণে ক্ষয়ে গিয়েছে।
এদিকে, দিল্লির ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট অনুযায়ী ঘাতক গাড়িটির সামনে বাঁদিকের চাকায় আটকে গিয়েছিল তরুণীর দেহ। বাঁদিকে চাকার আসেপাশে ও গাড়ীর নীচের দিকের একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুয়ায়ী গাড়িতে কোনবও মহিলার উপস্থিতি প্রমাণ হয়নি। আটক অভিযুক্তদের রক্তের নমুনাও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
বর্ষবরণের রাতে সুলতানপুরীর একটি হেটেলে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছিলেন ওই তরুণী। হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় তরুণীর সঙ্গে তার এক বন্ধুর ঝগড়া হয় বলে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত দুজনই স্কুটি চেপে হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর ওই ঘটনা ঘটে। তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায় কুঞ্জাওয়ালায়। ভোর তিনটে চল্লিশ মিনিট নাগাদ পুলিসকে ফোন করে এক ব্যক্তি ওই ঘটনার কথা বলেন। প্রশ্ন উঠছে টানা ১৩ কিলোমিটার রাস্তা পার হল ঘাতক গাড়িটি, কোনও ক্রসিংয়ে পুলিসের চোখে পড়ল না? কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে অভিযুক্তদের একজন স্থানীয় বিধায়কের আত্মীয়। তাই কি গোটা ঘটনা চেপে যাওয়ার চেষ্টা?