নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিতে কি বয়ঃজেষ্ঠ্যরা অসম্মানিত! আডবাণী-যোশীর পর সেই প্রশ্নই কার্যত তুলে দিলেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিলেন, তিনি আর ভোটে লড়তে চান না। দলের নেতাদের দ্বিধা কাটাতেই যে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের সাংসদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১৯৮৯ সালে কংগ্রেসের প্রকাশচন্দ্র শেঠিকে হারিয়ে লোকসভায় প্রথমবার সংসদে প্রবেশ করেছিলেন সুমিত্রা মহাজন। তার পর টানা আটবার তিনি ইন্দোর থেকে জিতেছেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোকসভার অধ্যক্ষাও হন।


বিজেপি কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সিদ্ধান্ত নেয় ৭৫ বছরের বেশি নেতাদের আর প্রার্থী করা হবে না। সেই ফর্মুলা মেনে ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলী মনোহর যোশী।


আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের হান্ডওয়াড়ায় সেনা ছাউনিতে বিস্ফোরণ


সুমিত্রা মহাজনের বয়স এখন ৭৬। ফলে তাঁর নামও বাদ যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর আসনে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। সেখানে নির্বাচন সপ্তম দফায়, আগামী ১৯ মে। ফলে আরও দিন পনেরো সময় বিজেপির হাতে আছে।


কিন্তু সুমিত্রা মহাজনের বক্তব্য, তাঁর দল বিজেপি সম্ভবত ইন্দোরের প্রার্থী বাছাই নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে। অথচ আগেই এ বিষয়ে দলের অন্দরে আলোচনা হয়েছিল। সিদ্ধান্তের ভার তিনি দলের নেতাদের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে ওই বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন।



তিনি লিখেছেন, বিজেপির নেতাদের সেই দ্বিধা তিনি কাটাতে চান। সেই কারণেই তিনি ইন্দোর আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পর দল দ্বিধাহীন ভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংসদের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা সাংসদ।


বিজেপির প্রথম তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরই জানা গিয়েছিল গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে লড়বেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ওই আসনের সাংসদ লালকৃষ্ণ আডবাণী। পরের একটি তালিকায় কানপুর আসন থেকে মুরলী মনোহর যোশীর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: কংগ্রেস মুসলিম লিগ ‘ভাইরাস’-এ আক্রান্ত, রাহুলের রোড শো-তে সবুজ পতাকা নিয়ে কটাক্ষ আদিত্যনাথের


এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর ব্লগ। সেখানে তিনি দলের কথা লিখেছেন। বিজেপির বিরোধী মানেই তারা দেশদ্রোহী নয়, এমন মন্তব্যও করেছেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।


সেই রেশ কাটার আগে সুমিত্রা মহাজনের বিবৃতি সামনে এল। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে।