জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এনিয়ে বিতর্ক হয়েছে আগেও। যুক্তি ছিল ধর্ষণের প্রমাণ পেতে এই টেস্ট করার অর্থ ধর্ষণের পর ফের এক ধরনের ধর্ষণ। এবার এনিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সর্বোচ্চ আদালত তার এক রায়ে আজ বলেছে, ধর্ষণের প্রমাণ পেতে টু ফিঙ্গার টেস্ট(ভার্জিনিটি টেস্ট) করা যাবে না। যদি কেউ এই টেস্ট করে তাহলে তাকে অসদাচরণ বলে গণ্য করা হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যকে এই টেস্ট বন্ধ করতে হবে। ঝাড়খণ্ডের একটি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এ ব্যক্তিকে মুক্তি দেয় সেখানকার হাইকোর্ট। সেই মামলায় হাইকোর্টের ওই রায়কে খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। সেই মামলাতেই ওই দুই বিচারপতি নির্দেশ দেন ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটি প্রতিফলন। এতে কিছু প্রমাণ হয় না। এই টেস্ট একজন মহিলার সম্ভ্রম ও প্রাইভেসির পরিপন্থী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মন পড়ে আছে মোরবিতে, গুজরাটের দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর


বেঞ্চের তরফে এদিন মন্তব্য করা হয়, আজও এই টেস্ট করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা বলা যায় না যে যৌন জীবনে সক্রিয় কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। ওই মন্তব্যই শুধু নয়, প্রতিটি রাজ্যের ডিজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয় যেন ধর্ষণের প্রমাণ পেতে কারও যেতে টু ফিঙ্গার টেস্ট যেন করা না হয়। প্রতিটি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের পাঠ্যসূচি থেকে ওই টু ফিঙ্গার টেস্ট সরিয়ে ফেলতে হবে।


উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে মামলা উঠেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়েই সর্বোচ্চ আদালতের তরফে বলা হয় ধর্ষণে শিকার কোনও মহিলার টি ফিঙ্গার টেস্ট করার অর্থ ওই নির্যাতিতার ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা। যৌন নির্যাতন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরকারকে আরও উন্নত কোনও পরীক্ষার সাহায্য নিতে হবে। ধর্ষণের শিকার মহিলাদের উপরে এমন কোনও পরীক্ষা করা উচিত নয় যে যাতে তার মানসিক শান্তি ও মর্যাদার উপরে আঘাত করে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)