নিজস্ব প্রতিবেদন - জৈন গুরু আচার্য বিদ্যাসাগর বহুদিন ধরেই দেশের নাম ভারত করার দাবি তুলেছেন। তাঁর  যুক্তি, মাদ্রাসের নাম বদলে রাখা হয়েছে চেন্নাই।  গুরগাঁওয়ের নাম পাল্টে করা হয়েছে গুরুগ্রাম। তাহলে ইন্ডিয়া থেকে ভারত করতে সমস্যা কোথায়! দু বছর আগে থেকেই দেশের নাম বদলের  দাবিতে তিনি অভিযান চালাচ্ছেন। এমনকী নিয়মিত ইউ টিউবে এই নিয়ে প্রচারও চলছে। আচার্য দাবি করেছেন,  শ্রীলঙ্কার মতো ছোট দেশও নিজেদের নাম বদলেছে। আগে ছিল সিলন। তারপর শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আমরা কিছুতেই ইন্ডিয়া থেকে ভারত করতে পারছি না। ইন্ডিয়া নামটা ব্রিটিশদের গোলামির ধারক। কারণ ব্রিটিশরা এদেশের নাগরিকদের ইন্ডিয়ান বলত। ভারত বনে ভারত নামে আচার্যের অভিযান জারি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের নামে বদল হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  নায়কুর পর 'ফৌজি ভাই!' সেনার গুলিতে খতম জইশের বড় মাথা


কিছুদিন আগে দিল্লিতে একটি মামলার আবেদন জমা পড়েছিল। ইংরেজিতেও দেশের নাম ভারত রাখার আর্জি জানিয়ে একজন সেই মামলা করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার শুনানি করতে রাজি হল না। জানানো হল, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে আর্জি জানতে হবে।  সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সংবিধানে ভারত নাম আগে থেকেই রয়েছে। তবু মামলাকারী চাইলে সরকারের কাছে দেশের নাম বদলের আর্জি জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মামলাকারী দাবি করেছিলেন, দেশের নাম ভারত হলে দেশবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ বাড়বে। তাছাড়া ইংরেজদের গোলামির ধারক এই ইন্ডিয়া নাম অবিলম্বে ত্যাগ করা উচিত বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।  সেই মামলাকারী কিষান নমহ দাবি করেছিলেন, প্রাচীনকাল থেকেই দেশের নাম ভারত। মাঝে ব্রিটিশদের শাসনের দুশো বছর শুধুমাত্র দেশের নাম বদলে হয়েছিল ইন্ডিয়া। এই নাম এখনও বয়ে বেড়ানোর কোনও মনে হয় না।  ইন্ডিয়া নামটি ব্রিটিশ আমল থেকে চলছে। এই নামের মধ্যে দুশো বছরের গোলামীর ইতিহাস লেখা রয়েছে। তাই এই নাম বদলানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। 


মামলাকারী আরও জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সালেও ইন্ডিয়া নাম বদলের জোরালো দাবি উঠেছিল। কিন্তু সেবারও নাম বদলানো হয়নি। ইন্ডিয়া নাম বদলে ভারত, ভারতবর্ষ বা হিন্দুস্তান দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন মামলাকারী। তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া নামটা একটা বড় ভুল। এবার সেই ভুল সংশোধনের সময় এসেছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি বাতিল করায় জটিলতা বেড়ে গেল। এবার সরকার এই ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।