নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কংগ্রেস। শীর্ষ আদালতে দুটি পৃথক  আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ও সচিন পাইলট। তাঁরা আর্জি করেছিলেন, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের ভোটার তালিকার খসড়া টেক্সট ফরম্যাটে পেশ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক আদালত। শুক্রবার দুটি আবেদনই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি একে সিকরি ও অশোক ভূষণের বেঞ্চ।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, ভোটার তালিকায় বহু জায়গায় ভুয়ো নাম অন্তর্ভূক্তি করেছে বিজেপি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে টেক্সট ফরম্যাটে ভোটার তালিকার খসড়া পেশ করা উচিত নির্বাচন কমিশনের। কমল নাথ ও সচিন পাইলটের দায়ের করা মামলাটির রায়দান ৮ অক্টোবর স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি একে সিকরি ও অশোক ভূষণ বলেন, ''আমরা আবেদনটি খারিজ করছি''।   


দিন কয়েক আগেই পাঁচটি রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ মধ্যপ্রদেশে এবং রাজস্থানে ভোটগ্রহণ ৭ ডিসেম্বর। এই তিনটি রাজ্য ছাড়াও ভোটগ্রহণ হতে চলেছে মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায়। ফলপ্রকাশ ১১ ডিসেম্বর।   


কমল নাথরা আবেদন করেছিলেন, আইন অনুযায়ী, পিডিএফ আকারে নয়, বরং টেক্সট ফরম্যাটে ভোটার তালিকা পেশ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক আদালত। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হোক। 


এর পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছিলেন, নিয়মিতভাবে ইভিএম ও ভোটার পেপার অডিট ট্রেইলের(ভিভিপ্যাট) স্লিপ মিলিয়ে দেখা উচিত কমিশনের। প্রতিটি কেন্দ্রের অন্তত ১০ শতাংশ ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখা হোক। 


আবেদনে কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেছেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ভোটের তালিকায় ৫০ লক্ষ ভোটার ভুয়ো। তেমনইভাবে রাজস্থানে ৪২ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে তালিকায়। 


লোকসভা ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যের ভোট কংগ্রেস-বিজেপির কাছে কার্যত সেমিফাইনাল। এই লড়াইয়ে বিজেপির কাছ থেকে তিনটি রাজ্য কংগ্রেস ছিনিয়ে নিলে, ফাইনালের আত্মবিশ্বাস পেয়ে যাবেন রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধীরা। তাঁরা আরও জোটবদ্ধভাবে নামতে পারবেন ময়দানে। এবিপি নিউজ ও সি ভোটারের সমীক্ষা ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস করেছে, ১৫ বছর বাদে মধ্যপ্রদেশও ছত্তিসগঢ়ের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। আর রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজের জমানারও অবসান হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগঢ়ের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি। দু'দলের মধ্যে ভোট শতাংশের ফারাক অত্যন্ত কম। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই বাজি জিততে পারে বিজেপি। 


আরও পড়ুন- গঙ্গা বাঁচাতে ১১২ দিন অনশনের পর মৃত্যু পরিবেশবিদের