জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের বিপাকে সিভি আনন্দ বোস! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তদন্ত শুরুর অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে নোটিসও ইস্যু করল শীর্ষ আদালত। অভিযোগকারিণীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিন কোর্ট নির্দেশ দেয়,'অন্তত তদন্ত শুরু করতে দেওয়া হোক।' তদন্ত শুরুর জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলের সহযোগিতা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ৩ সপ্তাহ পর ফের শুনানি। উল্লেখ্য, এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে অভিযোগকারিণীর আবেদনের শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালতের তরফে সেখানে স্পষ্ট বলা হয় যে,  পদ ও ক্ষমতা যত বড় ও বিশাল-ই হোক না কেন, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা কার্পেটের তলায় চাপা দিয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যা করণীয়, তা করবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনের পিবিএক্স-এ কর্মরত এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল আগেও তাঁকে কু-ইঙ্গিত করেছেন। আর ঘটনার দিন রাজ্যপাল তাঁকে চেম্বারে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানি করেন। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে চিঠি দেয় লালবাজার। কিন্তু 'সচ কা সামনা' বলে এক অনুষ্ঠানের ঘোষণা করে 'পুলিসকে নয়,জনতাকে ফুটেজ দেখানো'র সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। এরপর বিকেল ৫.৩২ থেকে ৬.৪১ মিনিট রাজভবনের দুটি ফুটেজ দেখানো হয়। "সচ কা সামনা" বলে ওই অনুষ্ঠানে ২ মে, যেদিন ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেদিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে রাজভবন।  তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজ মূলত রাজভবনের মেইন গেটের পুলিসের আউটপোস্ট সংলগ্ন দুটো সিসিটিভির। যেখানে অভিযোগকারিণী রাজভবনের দিক থেকে হেঁটে ওসি রাজভবন ও অতিরিক্ত চেম্বারে কখন ঢুকছেন তা দেখানো হয়। 


ওদিকে কলকাতা পুলিসের হাতে আসে আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যায়, ২ মে, ঘটনার দিন রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে আসছেন অভিযোগকারিণী। ফুটেজটি বিকেল ৫.১৫ মিনিটের। যেখানে তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যায়। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণী স্পেশাল সেক্রেটারির চেম্বারে যান। সেখানে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি তাঁকে কাঁদতে-কাঁপতে দেখে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। সেখানে ১০ মিনিট ছিলেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী ওসি রাজভবনের ঘরের দিকে যান। শ্লীলতাহানির ঘটনায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে গোপন জবানবন্দিও দেন অভিযোগকারী তরুণী। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়।


তবে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, দিল্লির তাজ হোটেলের ঘটনাকে তিনি আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। তাঁর দাবি, নিজের শারীরিক অবস্থা এবং বিদেশে অন্য একটি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আইনি লড়াইয়ে তিনি এই মুহূর্তে ব্যস্ত। আর সেই কারণেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে তিনি এখন আর 'ধর্ষণের' মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওই নৃত্যশিল্পী দিল্লির তাজ হোটেলে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ২০২৩-এর ৫ ও ৬ জুন একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যান রাজ্যপাল। সেখানে তাঁকে একটি পাঁচতারা হোটেল রাখা হয়। সেই হোটেলেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু সেই অভিযোগ তিনি আর এই মুহূর্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। 


আরও পড়ুন, Class V in Primary: রাজ্যের স্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল বদল! এবার থেকে প্রাইমারিতেই ক্লাস ফাইভ...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)