নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের মুখোমুখি হোয়াটসঅ্যাপ। আগানী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব হোয়াটসঅ্যাপকে দিতে হবে। একই সঙ্গে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্র‌যুক্তি ও অর্থ মন্ত্রককেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন ওই নোটিশ? হোয়াটসঅ্যাপ-এ কেন কোনও গ্রিভান্স অফিসার নেই। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করে একটি এনজিও। ভারতের তথ্যপ্র‌যুক্তি আইন অনু‌যায়ী অভি‌যোগ শোনার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের একজন গ্রিভান্স অফিসার থাকার কথা। তা নেই এই সোশ্যাল সাইটের। এনিয়ে সরকারের সঙ্গেও হোয়াটসঅ্যাপের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে।



আরও পড়ুন-অমিত শাহের নিরাপত্তায় খরচ কত, জানাতে অস্বীকার করল কেন্দ্র


সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্র‌যুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করেন হোয়াটসঅ্যাপ এর প্রধান ক্রিস ড্যানিয়েলস। রবিশঙ্কর প্রসাদ ড্যানিয়েলসকে অনুরোধ করেন বিভিন্ন ধরনের অভি‌যোগ নেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে একজন গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি এমন এক প্র‌যুক্তি উদ্ধাবন করতে হবে ‌যাতে করে কোনও মেসেজের উৎস খুঁজে পাওয়া ‌যায়। হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান তা করতে অস্বীকার করেন। দাবি খারিজ করে দিয়ে হোয়াটস অ্যাপ জানিয়ে দিয়েছে, ওই ধরনের কোনও পদ্ধতি বাতলে দিলে তাতে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হবে।


ফেসবুক-এর মালিকানাধীন হোয়াটস অ্যাপ মনে করে মানুষজন হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে বহু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদানপ্রদান করে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। কোনও মেসেজের উৎস খুঁজে দেওয়া ‌যাবে না।


আরও পড়ুন-মানিকচকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত বেড়ে ২ , আহত শিশু


হোয়াটস অ্যাপ এর এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, কোনও মেসেজের উৎস খুঁজে বের করার পদ্ধতি চালু করে দেওয়া প্র‌যুক্তি আনলে তা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ও হোয়াটস অ্যাপের মধ্যে ‌যে ব্যক্তিগত ব্যাপারটা রয়েছে তাতে নষ্ট হয়ে ‌যাবে।


উল্লেখ্য, ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য কয়েক মাস আগে হোয়াটস অ্যাপের বিরুদ্ধে অভি‌যোগ উঠেছিল। বিশেষ করে গণপিটুনির ক্ষেত্রে হোয়াটস অ্যাপের একটি বড় ভূমিকা থাকার অভি‌যোগ উঠেছিল। এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর অভি‌যোগ উঠছিল। তার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে কেন্দ্র।


উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে হোয়াটস অ্যাপের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড সিস্টেমেটিক চেঞ্জ। সেখানে বলা হয় হোয়াটস অ্যাপ একচি বিদেশি কোম্পানি। ভারতে তাদের কোনও অফিস নেই। পেমেন্ট সার্ভিস চালুর আগে হোয়াটস অ্যাপকে ভারতে অফিস খুলতে হবে। পাশাপাশি দেশের তথ্যপ্র‌যুক্তি আইন অনু‌যায়ী খুলতে হবে একটি গ্রিভান্স সেল। রাখতে হবে একজন গ্রিভান্স অফিসার। প্রসঙ্গত, ওই পিটিশনের পরই নড়চড়ে বসে কেন্দ্র।