নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞা তোলার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। ‘অলীক মুদ্রার’ এই লেনদেনের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অসমাঞ্জস্য’ বলে ব্যাখ্যা করল বিচারপতি  আর এফ নরিম্যান, অনিরুদ্ধ বসু এবং রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ। গত বছর এপ্রিলে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ব্যান করে রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক। এই সিদ্ধান্তকে বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (IAMI) এবং অন্যান্য় অংশীদারিরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের উপর আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের অধিকার নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলেন আইএএমআই-র আইনজীবী অসীম সুদ। তাঁর অভিযোগ, ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় বলে আরবিআই যে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়, তা ভিত্তিহীন। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘কারেন্সি’ বা মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা উচিত নয় বলে জানান তিনি। এটি একটি লেনদেনের মাধ্যম বলে তাঁর মত। তবে, সুদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আরবিআই-এর আইনজীবী শ্যাম দিভান জানান, এটি একটি ডিজিটাল পেমেন্ট মাধ্যম ছিল, যার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও ছিল শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে।


আরও পড়ুন- আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র


উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের বৈদ্যুতিন মুদ্রা, যা ভার্চুয়াল জগতেই লেনদেন হয়। বিটকয়েন তেমনই একটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি। ২০০৯ সালে প্রথম বিটকয়েন তৈরি হয় এবং পরের বছরেই ভার্চুয়াল জগতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এতটাই সুরক্ষিত এবং গোপনীয়, বাজার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হয় না। দেশের কোনও শীর্ষ ব্যাঙ্কেরও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু ডলার, পাউন্ড কিংবা রুপি দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা যায়।