জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লিভ ইন রিলেশনে বিপদ অনেক। তাই ওইরকম সম্পর্কে যারা থাকবেন তাদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তা নথিভূক্ত করার ব্যবস্থা করা হোক। এনিয়ে আইন আনুক কেন্দ্র। এরকমই এক দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন এক আইনজীবী। সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধূীন বেঞ্চ। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, এইসব যুক্তি পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাবার মুখোমুখি হলেই বিপদ! দিল্লিকে ইডি দফতরে গেলেন না অনুব্রত-কন্যা


সোমবার ওই মামলার শুনানিতে নাজেহাল হয়ে যান জনস্বার্থ মামলাকারী ও আইনজীবী মমতা রানী। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনি কি ওইসব যুগলদের নিরাপত্তা চান নাকি তারা ওই ধরনের সম্পর্কে না জড়াক এটা চান? লোকজন যা ইচ্ছে নয় তা নিয়েই আদালতে চলে আসছে। লোকজন যদি একে অন্যজনের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করে তাহলে তাতে কেন্দ্র কী করতে পারে? মমতা বলেন, লিভ ইন রিলেশনে যাতে সামাজিক নিরাপত্তা থাকে তার জন্যই এই আবেদন।


লিভ ইন রিলেশনের ঘোর বিরোধী দেশের বেশকিছু সংগঠন। এদের মধ্য়ে অনেকেই ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন রাস্তায় বের হওয়া যুগলদের তাড়াও করে। এদিন বিচারপতি জে বি পাদরিওয়াল ও বিচারপতি পি এস নরসিহমহা প্রশ্ন তোলেন, লিভ ইন রিলেশনশিপ রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কেন্দ্র কী করতে পারে? এটা কী ধরনের পাগলের মতো যুক্তি? 


আইনজীবী মমতা রানীর যুক্তি ছিল লিভ ইন রিলেশনের মধ্য থাকা যুগলদের খুন ও ধর্ষণের ক্ষমা বাড়ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিভ ইন রিলেশনে থাকা মহিলারা তার পার্টনারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগও তুলে দিচ্ছেন। দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালার ভূমিকা টেনে আনেন মমতা রানী। পাশাপাশি তিনি দাবি তোলেন, লিভ ইন-এ থাকার যুগলদের নাম নথিভূক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু শর্তও আরোপ করা হোক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)