নিজস্ব প্রতিবেদন : সমকামিতা ভারতবর্ষে আর কোনও অপরাধ নয়। ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে বিচারপতি রোহিংটন নরিম্যান, এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও ইন্দু মালহোত্রার বেঞ্চের এদিনের রায়ে বাতিল হয়ে গেল ভারতীয় সংবিধানের ব্রিটিশ আমলের  ৩৭৭ ধারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী প্রকৃতি বিরুদ্ধ যেকোনও ধরনের যৌনতাকেই অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছিল। যার ফলে এদেশে সমকামিতাও ছিল নিষিদ্ধ। ৩৭৭ ধারায় প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌনাচারের জন্য ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণার সংস্থান ছিল। কিন্তু এদিনের রায়ের ফলে ভারতে সমকামিতা আর কোনও অপরাধ রইল না।  একযোগে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ব্যক্তি স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান শর্ত-ই হল ব্যক্তিগত পছন্দের স্বীকৃতি। পুরনো সমস্ত ধ্যানধারণাকে দূরে সরিয়ে নাগরিকদের সম অধিকারের পক্ষে রায় দেন বিচারপতিরা।


আরও পড়ুন, সমকামিতা অপরাধ নয়, সুপ্রিম নির্দেশে খুশি সেলিব্রিটিরা


২০০১ সালে দিল্লি হাইকোর্টে প্রথমবার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে সমকামিতার পক্ষে সওয়াল করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নাজ ফাউন্ডেশন। ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট , সমকামিতার পক্ষেই রায় দেয়। দুজন প্রাপ্তবয়স্কের তাদের স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্কের মধ্যে নাক গলানোকে ব্যক্তি পরিসরের  অধিকারকে লঙ্ঘন করা বলেই রায় দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে সেই রায় খারিজ হয়ে যায়। ৩৭৭ ধারার  সাংবিধনিক বৈধতা আছে বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফের শুরু হয় আইনি লড়াই। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এদিন রায়ে অবশেষে স্বস্তির হাসি সমকামিতার স্বীকৃতির পক্ষে সওয়ালকারীদের মুখে।


আরও পড়ুন, মাওবাদী যোগ! মানবাধিকারকর্মী গ্রেফতারে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা মহারাষ্ট্র পুলিসের


 সেই ব্রিটিশ আমলের ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, সম লিঙ্গে যৌন সম্পর্ক এদেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। মামলা চলাকালীন ৩৭৭ ধারা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম মতামত দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরে তারা জানায়, সম্মতির ভিত্তিতে সম লিঙ্গের যৌন সম্পর্কের আইনি বৈধতা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক শীর্ষ আদালতই। এদিন রায় ঘোষণ করে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানাল, ৩৭৭ ধারা একতরফা ও অপ্রাসঙ্গিক।