নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ নয় দিনে পড়ল অযোধ্যা মামলার শুনানি। দিনের শুরুতে সওয়াল শুরু করেন রাম লালা বিরাজমানের আইনজীবী সিএস বৈদ্যনাথন। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চকে তিনি জানান, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে পুজো করেন হিন্দুরা। এই জমি রামের জন্মভূমি বলে মনে করেন তাঁরা। সে জন্য এই জমি কখনওই জবরদখল বলা যেতে পারে না। ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বৈদ্যানাথন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বৈদ্যনাথনের পর ‘রাম জন্মভূমি পুনর্দ্ধার সমিতির’ হয়ে সওয়াল শুরু করেন আইনজীবী পিএন মিশ্র। সওয়াল শুরুতেই ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে রাম লালা, নির্মোহী আখড়া এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পিএন মিশ্র তাঁর সওয়ালে বলেন, নথি, মতবাদ এবং বিশ্বাসই প্রমাণ করে সেখানে মন্দির ছিল। অথর্ব বেদ, রামায়ন, নরসিংহ পুরাণ ও স্কন্দ পুরাণের উদ্ধৃত তুলে ধরেন এজলাসে।


আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ডে বন্যায় ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে ভেঙে পড়ল কপ্টার, মৃত ৩


এ দিন পি এন মিশ্র রাম জন্মভূমির প্রকৃত জায়গা বলতে গিয়ে একটি নদীর উল্লেখ করেন। তাঁকে বাধা দিয়ে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধবন বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। স্কন্দ পুরাণের তথ্যের ভিত্তি থাকে না। এ সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, পোক্ত প্রমাণ দিন ওই জায়গার। প্রয়োজনে ম্যাপ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পিএন মিশ্রকে এ বিষয়ে আরও প্রস্তুত হয়ে আসতে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।