Haldwani: `রাতারাতি ৫০ হাজার মানুষকে উত্খাত সম্ভব নয়`, উচ্ছেদ রুখে দিল সুপ্রিম কোর্ট
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের উচ্ছেদ নির্দেশের পর রেলের ওই জা.গায় বসবাসকারী লোকজন একটি মোমবাতি মিছিল বের করেন। হলদওয়ানি স্টেশনের কাছে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি ও ইন্দিরা নগর। বসবাস করে ৪০০০ পরিবার
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড় কাঁপানো এই ঠান্ডায় হাজার হাজার মানুষকে ঘর থেকে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। এটা অমানবিক। রেলকে এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ে আপাতত মাথার উপরে ছাদরক্ষা হল ৪ হাজার পরিবারের ৫০,০০০ মানুষের।
আরও পড়ুন-এবছর রাজ্যে নতুন ভোটার ১৩ লক্ষেরও বেশি...
উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে রেল জমি থেকে ৪ হাজার পরিবারকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের হাইকোর্ট। বছরের পর বছর ধরে হলদওয়ানি স্টেশনের কাছে বসবাসকারী ওই ৪ হাজার পরিবারকে উঠে যাওয়ার নোটিস দেয় রেল। ওই ২৯ একর জমিতে বসে রয়েছে ৪৩৬৫ পরিবার। এনিয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে মামলা উঠলে ওইসব পরিবারকে উঠে যেতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই কঠিন শীতে তাদের উচ্ছেদ করার জন্য বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়। শেষপর্যন্ত রেলের জমিতে থাকা লোকজন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আজ তার রায়ে বলেছে, 'রাতারাতি এই ৫০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। এটা মানবিক বিষয়। এনিয়ে কোনও গ্রহণযোগ্য সমধান করতেই হবে।' উত্তরাখণ্ডের উচ্ছেদের নির্দেশ নিয়ে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও বিচারপতি অভয় এস ওকে-র বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আধাসেনা দিয়ে দশকের পর দশ ধরে বসবাসকারী ওইসব লোকজনকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার নির্দেশকে ভুল বলা খুব একটা অসমীচিন হবে না। আগামী সপ্তাহে এই মামলায় ফের শুনানি হবে। রেলকে প্রমাণ করতে হবে ওই জমি রেলের। পাশাপাশি রেল যে নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল তা বহন্ধ করতে হবে।
উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের উচ্ছেদ নির্দেশের পর রেলের ওই জা.গায় বসবাসকারী লোকজন একটি মোমবাতি মিছিল বের করেন। হলদওয়ানি স্টেশনের কাছে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি ও ইন্দিরা নগর। বসবাস করে ৪০০০ পরিবার। এদের অধিকাংশেরই দাবি তারা ওই জমি লিজ নিয়েছেন রেলের কাছ থেকে। ঘরবাড়ি ছাড়াও ওই এলাকায় রয়েছে ৪টি সরকারি স্কুল, ১১টি বেসরকারি স্কুল, ব্যাঙ্ক, ২টি বিশাল জলের ট্যাঙ্ক, ১০টি মসজিদ, ৪টি মন্দির, কয়েকশো দোকান। কয়েক দশক ধরে রয়েছে ওইসব বস্তি।
এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলেন, ওই এলাকার মানুষজন মুসলিম বলেই বিজেপি সরকার এসব করছে। আধ্যাত্মিকতার জায়গা উত্তরাখণ্ড। ওই ৫০ হাজার মানুষকে যদি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রাজ্যের জন্য তা ভালো হবে না।