নিজস্ব প্রতিবেদন: আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কেন রূপায়ণ করা হয়নি? বাংলা-সহ ৪টি রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়নি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। একটি জনস্বার্থ মামলায়  এনিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি নোটিস পাঠিয়ে কারণ জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিত্সা বিমার সুবিধা পাওয়া যায়। এই প্রকল্পটি নিয়ে গত লোকসভা ভোটে জমে উঠেছিল বাংলার রাজনীতির আখড়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে বিজেপি। তার পাল্টা রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প রূপায়ণ হবে না রাজ্যে। রাজ্যের অংশীদারিত্ব থাকলেও নাম কিনছে কেন্দ্র। ওডিশা, তেলেঙ্গানা ও দিল্লিতেও লাগু হয়নি আয়ুষ্মান ভারত। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় যোজনা রূপায়ণ না করা অসাংবিধানিক, বেআইনি এবং সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী। কেন আয়ুষ্মান যোজনা রূপায়ন করা হয়নি, তা জানতে ৪ রাজ্যকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।                  



গতকাল, বৃহস্পতিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, ২০১৬ সালের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নকল আয়ুষ্মান ভারত। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ১০০ শতাংশ অর্থ দেয় রাজ্য সরকার। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, বাকি রাজ্য। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যে উপকৃত ৭.৫ কোটি মানুষ। সেখানে আয়ুষ্মান প্রকল্পে গোটা দেশে ১২.৫ কোটি ই-কার্ড দেওয়া হয়েছে।      


আরও পড়ুন- বাংলায় ফ্রি-তে রেশন, চিকিৎসা থেকে কৃষি-তথ্য দিয়ে নাড্ডাকে পাল্টা TMC-র