পুরভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তিতে বিপ্লব দেব সরকার, উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির
ত্রিপুরা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অস্বস্তিতে বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকার। কোনও রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ প্রচারে বাধা দেওয়া যাবে না। প্রশাসনকে সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশ বিচারপতি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। ত্রিপুরার ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ২ সপ্তাহ পর ফের শুনানি।
২৫ নভেম্বর ত্রিপুরাতে (Tripura) পুরভোট। তার আগে তৃণমূল (TMC) অভিযোগ করে, তাঁদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আক্রমণ করা হচ্ছে। কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচার করার অধিকার রয়েছে। সরকারকে শান্তিপূর্ণ প্রচারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিতে হবে। কাউকে প্রচারে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনও প্রার্থীর নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে, সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। ত্রিপুরা প্রশাসন এবং পুলিশকে নিরপেক্ষ এবং স্বতন্ত্র নির্বাচন করানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ত্রিপুরা পুলিসের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে হলফনামা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Yogi সরকারের বড় সিদ্ধান্ত! বিবাহিত কন্যারা করতে পারবেন চাকরির আবেদন
আরও পড়ুন: Hyderabad: বিয়ে করতে অস্বীকার, প্রেমিকাকে ১৮ বার কোপাল প্রেমিক
শীর্ষ আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস। এটাকে গণতন্ত্রের জয় বলে ব্যাখ্য়া করছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় বলনে, "ত্রিপুরার সরকারের দেউলিয়াপনা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। ওখানে গণতন্ত্র বিপন্ন।"
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতা নবেন্দু ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, "ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা ঠিক রয়েছে। সেজন্যই তৃণমূল প্রচার করতে পারছে। প্রার্থী দিতে পেরেছে।" শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।