নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মোট ১৪৪ আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আজ বুধবার সেইসব আবেদনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে।  অধিকাংশ পিটিশনে ওই আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভিডিয়ো: উরিব্বাস কত উঁচু! অগত্যা সিঁড়ি দিয়েই তিস্তা বাঁধে উপরে উঠল দাঁতাল 


সিএএ-র বিরুদ্ধে জমা পড়া পিটিশনগুলির অধিকাংশের বক্তব্য, এই আইন সংবিধান বিরোধী ও বেআইনি । পাশাপাশি সংবিধানের সমানাধিকারের ধারনার বাইরে ও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  পিটিশনগুলি করেছে ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসিলম লিগ, মিম, কামাল হাসানের এমএনএম-এর মতো দল।


উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক দাবি করে গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলার শুনানি করতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত।  সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশ এখন খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।  এই অবস্থায় একমাত্র লক্ষ হওয়া উচিত শান্তি।  আদালতের কাজ হল কোনও আইনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায় দেওয়া। কিন্তু কোনও আইনকে অসাংবিধানিক বলা শীর্ষ আদালতের কাজ নয়।


আরও পড়ুন-দিলীপ যে কোনও কেন্দ্র দেখুন, আমি লড়ব, পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর 


এদিকে, ওই মামলায় কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই নোটিস করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি বলা হয়েছে দেশের যেসব হাইকোর্টে সিএএ বিরোধী মামলা হয়েছে তা সুপ্রিম কের্টে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।


সুপ্রিম কোর্টে মামলা চললেও সিএএ আইন প্রত্যাহার না করার পক্ষেই অনড় কেন্দ্র। মঙ্গলবার লউনউয়ে এক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, যত বিরোধিতাই হোক, এই আইন প্রত্যাহার করা হবে না। বিরোধিতাকে আমরা ভয় পাই না।


উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ, পার্শিদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।  এনিয়ে বিবাদ চরমে। বিরোধীদের দাবি, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও আইন তৈরি করা যায় না। পাশাপাশি অত্যন্ত সুচতুরভাবে ওই আইনের আওতা থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়েছে।