বিমুদ্রাকরণ মামলায় এবার কেন্দ্রের সামনে `৯ প্রশ্নের প্রশ্নপত্র`!
বিমুদ্রাকরণ মামলায় কিছুটা হলেও কি ব্যাকফুটে কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এখন এমনটাই মনে করছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির কাছে এখন এটাই বড় পাওনা।
ওয়েব ডেস্ক : বিমুদ্রাকরণ মামলায় কিছুটা হলেও কি ব্যাকফুটে কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এখন এমনটাই মনে করছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির কাছে এখন এটাই বড় পাওনা।
গত ৮ নভেম্বর দেশজুড়ে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর থেকেই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে ও তাঁর প্রধান সেনাপতি অরুণ জেটলিকে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাদের বারবার শুনতে হয়েছে এই সিদ্ধান্ত 'ঐতিহাসিক ভুল'। এরপর, দিন কয়েক আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট না কমানোর ঘোষণায় কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে যায় সরকার। তার ঠিক পরেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে আরও একটা চ্যালেঞ্জের সামনে এনে ফেলল।
আজ সুপ্রিম কোর্টে নোট বাতিলের সিদ্ধানের শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি সরকারপক্ষ ও মামলাকারীর কথা শোনার পর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৪ই ডিসেম্বর ধার্য করেন। যদিও, এই ৬ দিনের মধ্যে সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের ৯টি প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে রাখতে হবে। আর তা নিয়েই ১৪ তারিখ আলোচনা হবে আদালতে। কী কী রয়েছে সেই প্রশ্নে?
শোনা যাচ্ছে, বিচারক সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন...
১) বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্ত কবে নেওয়া হয়?
২) তার জন্য যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল কি না?
৩) বিমুদ্রাকরণের জন্য নির্দিষ্ট কোনও নীতি গ্রহণ করা হয়েছে?
৪) কী কী ভাবে সমস্যার সমাধান করার কথা ভেবেছে কেন্দ্র?
এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু প্রশ্ন। আদালতের নির্দেশিকা মেনেই ১৪ই ডিসেম্বর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তার পাশাপাশি আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ইস্যুতে সরকার হাত গুটিয়ে বসে নেই। যা ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।