সুপ্রিম কোর্টে আবেদন নাকচ, নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড বহাল
মৃত্যুদণ্ড রদের কোনও প্রশ্নেই নেই, মন্তব্য শীর্ষ আদালতের
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে দোষী সাব্যস্ত ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে ৩ ধর্ষক। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়ের পর সাজাপ্রাপ্ত ৪ জনের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া আর কার্যত কোনও উপায় রইল না।
আরও পড়ুন-জেলের মধ্যেই গুলি, খুন ইউপির কুখ্যাত মাফিয়া মুন্না বজরঙ্গি
এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার করার মতো যুক্তি সাজাপ্রাপ্তদের আবেদনে নেই।
নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুকেশ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয়কে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। এর পরই মুকেশ, পবন ও বিনয় সেই শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত চতুর্থ ব্যক্তি অক্ষয় কুমার সিং। সে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড মকুব করার কোনও আবেদন করেনি। গতবছর ৫ মে ওই ৪ জনকে দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-টিউশন পড়ে বেরিয়ে হইচই, ছাত্রকে বেধড়ক ‘মার’ গৃহশিক্ষকের
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ওই গণর্ধণে মোট অভিযুক্ত ছিল ৬ জন। এদের মধ্যে বাসচালক রাম সিং তিহাড় জেলের মধ্যেই মারা যায়। আরেক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তাকে হোমে পাঠানো হয়। তিন বছর পর সে ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। তবে ওই ধর্ষণের ক্ষেত্রে ওই 'নাবালক'ই সবচেয়ে নৃশংস আচরণ করেছিল বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন প্যারামেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়া। তাঁর সঙ্গীকে ঘায়েল করে বাস থকে ফেলে দেয় অপরাধীরা। এরপর ওই ছাত্রীর উপরে চলে নির্মম অত্যাচার। তাঁর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অন্ত্র বের করে দেওয়া হয় এবং বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় রাস্তায়। এরপর আহত নির্যাতিতাকে চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরেও নিয়ে যাওয়া হল। কিন্তু, তবু শেষ রক্ষা হয়নি, ১৩ দিন লড়াই করে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।