ব্যুরো: রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কে এখনই আইনি হস্তক্ষেপ চাইছে না সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বাইরেই অযোধ্যা বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিল শীর্ষ আদালত। সব পক্ষ চাইলে তিনি নিজেও মধ্যস্থতায় রাজি বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে BJP। তবে, আদালতে রায় ছাড়া সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করছে রাম লালা ও বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়। আর তারপরই ফের লাইমলাইটে রাম মন্দির। সৌজন্যে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণে দ্রুত শুনানি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় তিনি। প্রধান বিচারপতি JS খেহর, বিচারপতি DY চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি SK কাউলের বেঞ্চে এ দিন শুনানি ছিল। এল আদালতের বাইরে অযোধ্যা বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ। সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, অযোধ্যা ইস্যুর সঙ্গে ধর্ম ও ভাবাবেগ জড়িত। সব পক্ষ এক সঙ্গে বসে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিতর্কের সমাধান করতে পারে।


শীর্ষ আদালতকে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, আলোচনার চেষ্টা করে লাভ হয়নি বলে তিনি আদালতে এসেছেন। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, ঐকমত্যের জন্য আবার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মধ্যস্থতাকারী বেছে নিন। আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে সব পক্ষ যদি তাঁর সঙ্গে বসতে চায় তা হলেও তিনি রাজি বলে জানান প্রধান বিচারপতি। সব পক্ষ চাইলে শীর্ষ আদালত একজন প্রধান মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করতে পারে। 


আলোচনা ব্যর্থ হলে তবেই হস্তক্ষেপ বলে এ দিন জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। তবে, আদালতের রায় ছাড়া আলোচনায় বিতর্ক মিটবে না বলে মনে করছে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। ২০১০-এর ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি ৩ ভাগে ভাগ করার কথা বলা হয়। রাম লালা বিরাজমান, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়ার মধ্যে জমি ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়। 


এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পর প্রায় সাত বছর ধরে বিতর্কিত জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। জমি ভাগাভাগি নিয়েই যখন কোনও পক্ষ রাজি হয়নি তখন রাম মন্দির নির্মাণে ঐকমত্য হবে -এমন সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ফল কী হল তা ৩১
মার্চ সুপ্রিম কোর্টকে জানানোর জন্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।