ওয়েব ডেস্ক : উরি হামলার বদলায় পাক ভূখণ্ডে ঢুকে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাক জঙ্গিদের বিভিন্ন খাঁটি। নিহত হয় বহু পাক জঙ্গি ও সেনা। সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর 'স্বীকারোক্তি' করলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রিক্কর। বললেন, "২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোরকে অন ক্যামেরা অপমানজনক প্রশ্ন করেন এক সঞ্চালক। তারপরই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করা হয়। আজ থেকে ১৫ মাস আগে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৫-র ৪ জুন, মণিপুরের চান্দেলে সেনা কনভয়ের উপর হামলা চালায় উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠী NSCN খাপলাং। ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। পর্রিক্কর বলেছেন, মণিপুরের এই ঘটনা সম্পর্কে জানার পর তিনি অত্যন্ত 'অপমানিত বোধ' করেন। ২০০ জনের একটা দলের হাতে ১৮ জন ডোগরা জওয়ানের মৃত্যু ভারতীয় সেনার কাছে একটা 'অপমান'। সেই বিকেলেই সিদ্ধান্ত হয়, মায়ানমার সীমান্ত বরাবর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবে ভারতীয় সেনা। সেইমত ৮ জুন সকালে ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়। ৭০-৮০ জন জঙ্গি নিহত হয়।


কিন্তু এই সাফল্যের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে রাজ্যবর্ধন রাঠোর যখন অভিযান সম্বন্ধে বলছিলেন, তখন এক সঞ্চালক অত্যন্ত 'অপমানজনক' প্রশ্ন করেন। 'দেশের পশ্চিমেও একইরকম সাহস দেখানোর সাহস ও দক্ষতা সেনার আছে কি না?', প্রশ্ন করেন ওই সঞ্চালক। প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, তখনই তিনি স্থির করে নেন "সময় হলে এর উপযুক্ত উত্তর দেবেন"। ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বরের PoK-এ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের শুরুটা তাই ৯ জুন ২০১৫-তেই হয়ে গিয়েছিল বলে জানান পর্রিক্কর।


আরও পড়ুন, 'গুড' GST-র 'সিম্পল' এফেক্ট! দাম কমল ৬৮৪টি অত্যাবশ্যকীয় ও ৭৭টি জীবনদায়ী ওষুধের