নিজস্ব প্রতিবেদন: চুরি করেও শান্তি নেই চোরের। পুলিসের হেনস্তা যেন তেন প্রকারে সামাল দেওয়া যায়, কিন্তু যে দিন থেকে শুনেছেন কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হবে, দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে চোরের। এ বার যে আর পালানোর পথ থাকবে না! কোনও উপায় না দেখেই শেষমেশ চুরির মাল ফেরত্ দিয়ে এলো চোর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হ্যাঁ, এমনই মজার ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর প্যারামবুরে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ ইমথিয়াস আবুবেকার নামে এক মহিলা যখন ঘরে ঢোকেন, দেখেন সারা ঘর অগোছালো হয়ে রয়েছে। আলমারিও খোলা। সেখানে লকারে থাকা প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার সোনা হাওয়া। এর পর সেমবিয়াম থানায় খবর দেন আবুবেকার।


আরও পড়ুন- জিএসটি-নোটবাতিলের প্রভাব! এক বছরে ছোট ব্যবসায় ঋণখেলাপির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ


আবুবেকারের পরিবারে মধ্যেই কেউ চুরি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয় পুলিসের। পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। উল্টে পুলিসকে ধন্দে রেখেছিলেন তাঁরা। প্রতিবেশীরাও এ বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি। আবুবেকারের ঘরে আনাচ-কানাচের লেগে থাকা হাতের ছাপ সংগ্রহ করে পুলিস। এবং জানিয়ে যায়, পুলিস কুকুর দিয়ে তল্লাসি চালানো হবে গোটা এলাকা।


আরও পড়ুন- হিন্দু নেতা খুনের চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে তামিলনাড়ুতে গ্রফতার ৫


পুলিসের এমন হুঁশিয়ারির চার দিন পর ৩০ অগস্ট আবুবেকারের মা দরজা খুলতেই দেখেন খোয়া যাওয়া সোনার ব্যাগ দোরগড়ায় পড়ে রয়েছে। তা দেখে থ আবুবেকারও।


পুলিসের একটা হুঁশিয়ারিতেই কাজ হওয়ায় খুশি আবুবেকার। কিন্তু চোর কে? সেমবিয়াম থানার এক আধিকারিক বলেন, “ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল পরিবারের কেউ এই কাজ করেছিলেন। পুলিস কুকুরে নাম শুনে ভয়ে সোনার ব্যাগ রেখে যায়।” ওই আধিকারিক জানায়, যাক, সোজা আঙুলে যখন ঘি উঠেই গেল, আর তদন্ত করে লাভা কী!