জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কখনও ভরা বাজারে, কখনও সরকারি অফিসে ঢুকে হামলা হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে। উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলোপের এভাবেও বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে প্রাণ হারিয়েছেন পুরন কৃষ্ণ ভাট নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত। এনিয়ে মুখ খুললেন ন্যাশনাল কন্ফারেন্সের প্রাক্তন প্রধান ফারুক আবদুল্লা। কেন এমন হিংসা হচ্ছে কাশ্মীরে? প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, কাশ্মীরে হিংসার পেছনে রয়েছে সেখানে ৩৭০ ধারা রদ করা। এটা মারাত্মক অন্যায়। কাশ্মীরে খুন বন্ধ হবে না যতদিন না সেখানে ন্যায় বিচার দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মালে হড়পা বানে নিহতের বাড়িতে মমতা, কথা পরিবারের সঙ্গে


ফারুক আবদুল্লা আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা বন্ধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখানকার মানুষ ন্যায়বিচার পায়। একসময় বলা হতো উপত্যকায় ৩৭০ ধরা বলবত থাকার জন্যই খুনখারাপি হচ্ছে। এখন তা রদ হয়েছে। এখন তাহলে এমন খুন কেন হচ্ছে? এর জন্য দায়ী কে? ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর পরিস্থিতির যদি উন্নতি হতো তাহলে আরও একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত খুন হতেন না। 


গত শনিবার সোপিয়ান তার নিজের বাড়িতে ঢুকে পুরন ভাটকে(৫৬) গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সোপিয়ানের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। উপত্যকায় ফের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। ওই ঘটনা নিয়ে পুরনের বোন নিলম সংবাদ মাধ্যমে বলেন, কাশ্মীর উপত্যাকায় হিন্দুরা নিরাপদ নয়। এখন আমাদের মুসলিম প্রতিবেশীরা বলছেন তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না।


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। একটি হল লাদাখ এবং অন্যটি জম্মু ও কাশ্মীর। ওই ভাগাভাগির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ন্যাশনাল কন্ফারেন্স ও আরও ৩ দল মিলিয়ে পিপিলস অ্য়ালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লেয়ারেশন।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)