নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার তেলুগু দেশম পার্টির দুই নেতাকে হত্যা করল মাওবাদীরা। এর মধ্যে এক জন রয়েছেন টিডিপির সাংসদ কেদারি সরবেশ্বর রাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরাকু ভ্যালিতে একটি অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন টিডিপির সাংসদ সরবেশ্বর রাও এবং সে দলেরই নেতা শিবারি সোমা। বিশাখাপত্তনমের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকে ধরেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এদের মধ্যেই লুকিয়ে ছিলেন জনা ৪০ মাওবাদী-ও। এই এলাকার খনিকে কেন্দ্র করে তৈরি নানা সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় মাওবাদীদের। জানা গিয়েছে, সরবেশ্বর রাওয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের মেরে তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়। সেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সরবেশ্বরদের গুলি করে মাওবাদীরা। ঘটনস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুই নেতার। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের ঢাল করে এরপর মাওবাদীরা গা ঢাকা দেয়।


আরও পড়ুন-  রাহুলের সঙ্গে ওলাঁদের যোগসাজশ রয়েছে, পাল্টা অভিযোগ অরুণ জেটলির


এই ঘটনার খবর পৌঁছয় অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর কাছে। এই মুহূর্তে মার্কিন সফরে রয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। সরবেশ্বর রাও এবং শিবারি সোমার পরিবারের উদ্দেশে শোকবার্তা  জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, মাও অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার কমিটির মুখ্যসচিব রামকৃষ্ণ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।


টিডিপি সাংসদ সরবেশ্বর রাও

আরও পড়ুন- রাফাল দুর্নীতির অভিযোগে রাহুলকে সমর্থন পাকিস্তানের,'আন্তজার্তিক মহাজোট', খোঁচা অমিতের


উল্লেখ্য, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের টিকিটে টিডিপি নেতা শিবারি সোমাকে পরাজিত করেছিলেন কেদারি সরবেশ্বর। পরবর্তীকালে টিডিপি-তে যোগ দেন তিনি। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন মাওবাদীর হুমকি পাচ্ছিলেন এই দুই নেতা। স্থানীয় এলাকার খনির স্বত্ত্ব ভগিনীপতিকে দিয়ে দেওয়ায় সাংসদ সরবেশ্বরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখায় সেখানকার জনজাতিরা। টিডিপির দুই নেতাকে কী কারণে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।