নিজস্ব প্রতিবেদন: তিস্তা নিয়ে এবার সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোর্টে বল ঠেলল কেন্দ্র। ভারত থেকে তিস্তার জল বাংলাদেশে যাবে কি না, সে বিষয়ে একা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না মোদী সরকার। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মমতা সরকারের সম্মতি, সাফ জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সুষমা স্বরাজ জানিয়ে দিলেন, “আমাদের সরকারের ৪ বছর কেটেছে। তিস্তা ইস্যু সমাধানের জন্য হাতে আরও একবছর সময় আছে। সুতরাং তিস্তা চুক্তি ব্যর্থ, একথা এখনই বলা যাবে না। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন”।


আরও পড়ুন- বাদ মাংস, মাছেই আপ্যায়ন হাসিনাকে


একই সঙ্গে তিনি এও জানান, “কেবল ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যেই তিস্তা ইস্যু সীমাবদ্ধ ভাবলে চলবে না। এই চুক্তির অন্যতম বড় শরিক পশ্চিমবঙ্গের সরকারও। পশ্চিমবঙ্গের বুকের উপর দিয়েই তিস্তা বইবে। সেক্ষেত্রে সহজ সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে সব শরিককে সামিল করতে হবে-এটাই আমাদের নীতি ”।


আরও পড়ুন- রাজ্যে বঙ্গবন্ধু ভবন তৈরি করতে চাই, হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে জানালেন মমতা


উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মোদী-মমতার সামনেই নাম না করে তিস্তা ইস্যুর প্রসঙ্গ ছুঁয়ে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “আমরা পরস্পরে অনেক সমস্যা সমাধান করেছি। তবে আরও অনেক সমস্যাই এখনও অমীমাংসিত রয়েছে”। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সেদিন নীরব ছিলেন মোদী। শব্দ ব্যয় করেননি মমতাও। তবে এবার সুষমা স্বরাজকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন নমো। একই সঙ্গে চাপ বাড়ালেন মমতার উপরও, মত বিশ্লেষকদের একাংশের।


আরও পড়ুন- ঐতিহাসিক মুহূর্ত, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান মঞ্চে মোদী-হাসিনা-মমতা


এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের অবস্থানে অনঢ়। ‘রাজ্যের স্বার্থ বিরোধী’ করে কোনও কিছুই করবেন না তিনি, একথা আগেই জানিয়েছেন মমতা। তিস্তার বদলে তোর্সা-সহ আরও দুই নদীর জল বাংলাদেশকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। সে বিষয়ে যে ভাবনা চিন্তা চলছে সে কথা জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ।  অন্যদিকে তিস্তা চুক্তির সমাধান না করতে পারায় বিরোধিদের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে হাসিনাকেও। এমন অবস্থায় ‘বাঁধ’ কাটিয়ে তিস্তার জল আদতে কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে দুই দেশ।