নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি ২.৪। এখন সবার মুখে মুখে। অনেক নথি ঘেঁটে মৌসম ভবন দেখেছে, ১৯০১ নাকি এরকম হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছিল! এরপর আবার ধেয়ে আসছে শিলাবৃষ্টি। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাবু গোটা উত্তর পশ্চিম ভারত। তবে আগামী সপ্তাহে একটু কমতে পারে শীতের কামড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরুটা সেই ১৪ ডিসেম্বর থেকে। কনকনে উত্তুরে হাওয়া। সঙ্গে ঘন কুয়াশা। বেলা ১০টার আগে যেন চোখ মেলতেই পারছিল না দিল্লি। এবার সেই ঠান্ডাই ভেঙে দিল যাবতীয় রেকর্ড। শনিবার সফদরজঙে তাপমাত্রা নেমে যায় ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পালাম, আয়ানগরে তাপমাত্রা নেমে যায় ৩.১ ও ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সবাইকে চমকে দিয়ে লোধি রোডে ১.৭।


শুধু সড়কপথে না। এই ঠান্ডার প্রভাব পড়েছে রেল ও উড়ানেও। বেশ কয়েকটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেরিতে ওঠানামা করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমানও। কমবেশি ২৪টি ট্রেন দেরি করেছে। দুর্ভোগের এখানেই শেষ নয়। অন্তত এমনটাই তো বলছে মৌসম ভবন। 


রাজস্থানের শিকরে এই মরসুমে দ্বিতীয়বার শিশির জমে গেল। সকালে ক্ষেতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ কৃষকদের। কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় মুখ ঢেকেছে পঞ্জাবও। পথঘাট কাযত শুনশান ছিল সকালে।  সমস্যায় পড়েন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। প্রয়াগরাজে আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে মেলা। তার প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। বাধ সাধল প্রচণ্ড ঠান্ডা। গোটা উত্তরভারতের একই ছবি। মধ্যপ্রদেশের উত্তরাংশেও হুহু করে ঢুকছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। নাগপুর পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিচ্ছে হাড়।



তবে, আশা একটাই। আগামী সপ্তাহে কমতে পারে শীতের দাপট। কিন্তু দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঠিক কবে এতটা নেমেছিল? হাওয়া অফিস নথি ঘেঁটে দেখেছে ডিসেম্বরে এমন ঠান্ডা পড়েছিল সেই ১৯০১ সালে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ডিসেম্বরে ২০ ডিগ্রির নীচে ছিল ১৯১৯, ১৯২৯, ১৯৬১ ও ১৯৯৭ সালে।


আরও পড়ুন- CAA বিরোধীদের মোকাবিলায় আটের দশকের বাম পথে 'ছাত্রবন্ধু' প্রকাশ বিজেপির