ওয়েব দেস্ক:দেশে ঢুকে পড়েছে ১৫জন সশস্ত্র জঙ্গি। নিশানায় সেনা হেডকোয়ার্টার  সহ একাধিক  গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। পাঠানকোট বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলার আগেই নির্দিষ্ট তথ্য ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেনা সদর দফতর ও রাজ্যের সবকটি থানাকে সতর্ক করে ৩০ ডিসেম্বরই  চিঠি পাঠান পঞ্জাবের এডিজি আইনশৃঙ্খলা।


কী ছিল চিঠিতে?
                
বর্ষবরণের উত্সবের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভাবনীয় হামলার ছক কষছে লস্কর-এ-তৈবা। ইতিমধ্যেই ১৫জন প্রশিক্ষত লস্কর জঙ্গি সীমান্তপার করে দেশে ঢুকেছে।  সেনা সদর দফতর,সংসদ ভবন,সরকারি দফতর, পরমাণু কেন্দ্র সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে হামলা চালাতে পারে তারা।


এখানেই শেষ নয়।  হামলা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার চিঠিতে তারও স্পষ্ট নির্দেশ ছিল।  



হামলা রুখতে নির্দেশিকা


*জনবহুল সব জায়গার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে


*হোটেল, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায়  নাকাবন্দি এবং খানাতল্লাসি আবশ্যিক


*যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুইক রেসপন্স টিম, স্ট্রাইক গ্রুপকেও  তৈরি থাকতে হবে


*ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তায় বিশেষ নজরদারি


*রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করতে হবে


প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সুস্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও কেন এড়ানো গেল না পাঠানকোটের হামলা? এখানেই শুরু হয়েছে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চাপানউতোর। উঠে আসছে দুই মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের ছবিটা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুক্তি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কতা অনুযায়ী অ্যালার্ট ছিল সেনা। সেজন্যই জঙ্গিরা এয়ারবেসের টেকনিক্যাল এরিয়ায় ঢুকতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতিও আটকানো গেছে। কিন্তু, সেনা ঘাঁটিতে হামলা হতে পারে, এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা সত্ত্বেও কেন পাঠানকোটের হামলা এড়ানো গেল না? উত্তর নেই।