Terrorist: ২৬/১১ ধাঁচে হামলা, অভিঘাত ১৯৯৩-র মতো, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জঙ্গিদের
জঙ্গিদের জেরা করে চলছে ধরপাকড়ও। উঠে আসছে ডি কোম্পানি যোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু উত্সবের সময় জনবহুল জায়গায় হামলা নয়, ব্রিজ, রেললাইনেও বিস্ফোরণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল জঙ্গিরা। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পাকিস্তানে (Pakistan)। জঙ্গিদের জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তাদের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, ২৬/১১-র ধাঁচে লাগাতার হামলা চালাতে হবে। যার অভিঘাত হবে ১৯৯৩-র মতো।
ধৃত জঙ্গিদের জেরা যত এগোচ্ছে, ততই চমকে যাচ্ছেন দুঁদে গোয়েন্দা ও পুলিসকর্তারা। রেললাইন, সেতুতে বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল জঙ্গিরা (Terrorists)। সেজন্য পাকিস্তানে দরকারি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় তাদের। দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিস সূত্রে খবর, নকল সেতু ও রেললাইন তৈরি করে বিস্ফোরণের কায়দা বোঝানো হয় ওসামা, জিশানদের। প্রশিক্ষণ শেষে সম্ভাব্য টার্গেট রেকিও করে জঙ্গিরা। মূলত ৪ রাজ্যে ২০ থেকে ২২ টি জায়গা বাছাই করে তারা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থার তরফে জঙ্গিদের দু'টি নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথমত, ২৬/১১-র ধাঁচে হামলা। দ্বিতীয়ত, ১৯৯৩-র মতো অভিঘাত তৈরি করা।
প্রস্তুতি যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল, তাও এখন গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট। ২৬/১১ - র ধাঁচে সমুদ্রপথে অস্ত্র আমদানির পরিকল্পনা তৈরি ছিল। ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র আনার পরিকল্পনাও করে জঙ্গিরা। পরিকল্পনার জাল কতদূর জড়িয়ে, শেষ দেখতে চাইছে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি।
অন্যদিকে, জঙ্গিদের জেরা করে চলছে ধরপাকড়ও। উঠে আসছে ডি কোম্পানি যোগ। পাক মদতে হাড়হিম করা সন্ত্রাসের পরিকল্পনাও অনেকটা স্পষ্ট। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি ৬ রাজ্যকে নিয়ে নিরাপত্তা বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বেশ কয়েকটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈঠক হচ্ছে। সন্ত্রাস দমনে একটি অভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস ও এটিএসের সমন্বয় বাড়ানো। জঙ্গি দমনে তথ্য আদানপ্রদানের ব্যবস্থা। এবং সাইবার নজরদারিতে বাড়তি সক্রিয়তা।
শুক্রবার আবার কেরল পুলিসকে নিয়েও একটি বৈঠকে বসছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। গোয়েন্দা কর্তারা বলছেন,কেরল থেকে সম্প্রতি আইএস খোরাসানে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। গত ৪ বছরে অন্তত ৩০০ জন জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। ইসলামিক স্টেট ( আইএস)-এও যোগ দেন কেরলের বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতী। গত ৩ বছরে কেরল থেকে জঙ্গি যোগে ১২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি কেরলেও ধরা পড়ে আল-কায়দা মডিউল। সূত্রের খবর, উত্সবের মরশুমের আগে দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরও বাড়াতে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে কেন্দ্র। সে কারণেই এই বৈঠক আরও তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- CPI-এ থেকে কাজ করতে পারছেন না, Congress-এ Kanhaiya? Rahul-র সঙ্গে সাক্ষাৎ
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)