ওয়েব ডেস্ক: "নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ", রাজ্যসভা ভোটে তাঁর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর এটাই কংগ্রেস সভানেত্রীর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। গতকাল রাতে নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসের দুই 'বিদ্রোহী বিধায়কে'র ভোট বাতিল ঘোষণা করার পর কান ঘেঁষে জেতেন আহমেদ প্যাটেল। আর পঞ্চম বারের জন্য রাজ্যসভার সদস্যপদ নিশ্চিত হতেই আহমেদ প্যাটেলের প্রথম টুইট প্রতিক্রিয়া, "সত্যের জয় হল"।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় পুনর্বার নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ৪৫টি ভোট প্রয়োজন ছিল আহমেদ প্যাটেলের। কিন্তু দুই কংগ্রেস বিধায়ক প্যাটেলকে ভোট না দিয়ে তাঁদের সেই ব্যালট বিজেপির সদস্যকে প্রকাশ্যে দেখায়। আর এই ভিডিওটি নিয়েই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত কমিশন ওই দুই ভোট বাতিল করে। যার ফলে গুজরাট বিধানসভার মোট কার্যকারী ভোটের সংখ্যা ১৭৪-এ নেমে আসে। তাই, নির্বাচিত হওয়ার জন্য ম্যাজিক ফিগারও ৪৫ থেকে এক কমে ৪৪ হয়ে যায় এবং ৪৪টি ভোট পেয়েই নির্বাচিত হন আহমেদ প্যাটেল।


প্রসঙ্গত, শঙ্করসিন বাঘেলাসহ ছয় কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগ গুজরাট থেকে সোনিয়ার রাজনৈতিক সচিবের নির্বাচনকে হাত ও পদ্ম শিবিরের প্রেস্টিজ ফাইটে পরিণত করে। গোটা পরিস্থিতি ভীষণভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সোনিয়ার দলের জন্য। এর পরই ঠিক ময়দানি কায়দায় জয় নিশ্চিত করতে দলীয় বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর ইগলেটন রিসর্টের 'শেফ শেল্টারে' পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। ভোটের আগের দিন অর্থাত্ সোমবার সকালে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় আমেদাবাদে। সেদিনও তাঁদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হয়নি, রাখা হয়েছিল আমেদাবাদেরই এক রিসর্টে।


যদিও দুই বিধায়ক ক্রস ভোটিং করে পথ রুখতে চেয়েছিল আহমেদের, তবু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের মধ্যস্থতায় 'গোপনীয়তা ভঙ্গ করার' অভিযোগে তাঁর ভোট বাতিল হওয়ায় মুখ রক্ষা হয় কংগ্রেসের। তবে এই জয় যে কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত কষ্টে উপার্জন করা করা তা ধরা পড়েছে ফল প্রকাশ পরবর্তী উদযাপনেই। সাম্প্রতিক অতীতে কোনও রাজ্যসভা আসনে জয় লাভএর পর এমন উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি, মানছেন কংগ্রেস হাই কম্যান্ডও।