ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তৃতীয়বার রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পারফরমেন্সের নিরিখে বেশ কিছু মন্ত্রীকে সরিয়ে আনা হচ্ছে বেশ কিছু নতুন মুখকে। মোট ৯ জন নতুন মন্ত্রীর নাম শনিবার রাতেই চূড়ান্ত করেছে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। আর এবার মোদীর পছন্দের তালিকায় অধিকাংশই প্রাক্তন সরকারি আধিকারিক ও আমলা। মন্ত্রিসভায় রদবদলের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের কথাও মাথায় রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এদফায় গুজরাট থেকে ঠাঁই হয়নি কারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নতুন মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে বিহারের অশ্বিনী কুমার চৌবে, মধ্যপ্রদেশের বীরেন্দ্র কুমার, উত্তর প্রদেশের শিব প্রতাপ শুক্ল, কর্ণাটকের অনন্ত কুমার হেগড়ে, মধ্যপ্রদেশের সত্যপাল সিং, রাজস্থানের গজেন্দ্র সিং শেখাওয়তের। এছাড়া রয়েছেন হরদীপ সিং পুরি, রাজকুমার সিং ও কে আলফোন্সও মন্ত্রী হচ্ছেন। এদের অধিকাংশই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ও আমলা। এক নজরে দেখে নিন নতুন মন্ত্রীদের পরিচয়..


 


সত্যপাল সিং


মধ্যপ্রদেশের বাগপতের সাংসদ সত্যপাল সিং একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। ১৯৮০ ব্যাচের এই আইপিএস মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। পেশাদারি দক্ষতার জন্য একাধিক পুরস্কার পেয়েছন তিনি। রসায়নের ছাত্র সত্যপাল সিংয়ের এমবিএ ও পিএইচডি রয়েছে। নকশাল আন্দোলনের ওপর গবেষণা করেছেন তিনি। ৬১ বছর বয়সি সত্যপাল সিং প্রথম থেকেই মোদীর ভরসার লোক।


 


অশ্বিনী কুমার চৌবে


বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবের রাজ্যের রাজনীতিতে পসার বেশ ভালই। প্রাণীবিদ্যার ছাত্রের পড়াশুনো পটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জরুরি অবস্থার সময় জয়প্রকাশ নারায়ণের ঘনিষ্ট হওয়ায় জেলবন্দি হতে হয় তাঁকে। চৌষট্টি বছরের অশ্বিনীবাবু বর্তমানে বিহারের বক্সার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। 


 


রাজ কুমার সিং


১৯৭৪ বিহার ব্যাচের এই সরকারি আধিকারিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব ছিলেন। বিহারের আরা থেকে বর্তমানে লোকসভার সাংসদ তিনি। পটনার সেইন্ট স্টিফেন্স কলেজ ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনো করেছেন মেধাবী এই ছাত্রটি। 


 


অনন্ত কুমার হেগড়ে


পেশায় কৃষিবিজ্ঞানী অনন্ত কুমার হেগড়ে কর্ণাটকের উত্তর কন্নড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচবারের সাংসদ। মাত্র ২৮ বছর বয়সে প্রথমবার লোকসভায় পৌঁছন তিনি। ৪৯ বছর বয়সি এই সাংসদের তাইকোন্ডুর প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর। লোকসভার একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।


 


বীরেন্দ্র কুমার


বিজেপির সঙ্গে বীরেন্দ্র কুমারের যোগাযোগ বেশ পুরনো। জেলা এবিভিপি-র আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। মধ্য প্রদেশের টিকমগড়ের সাংসদ বীরেন্দ্র জরুরি অবস্থার সময় ১৬ মাস কারাবন্দি ছিলেন। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও শিশুশ্রমের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি হয়েছেন তিনি।


 


গজেন্দ্র সিং শেখাওয়ত


দর্শনের ছাত্র গজেন্দ্র সিং শেখাওয়তের খেলাধুলায় উত্সাহ সর্বজনবিদিত। জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে বাস্কেটবল খেলেছেন তিনি। বর্তমানে বাস্কেটবল ইন্ডিয়া প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তিনি। বিজেপির কৃষক শাখার আহ্বায়ক ছিলেন গজেন্দ্র। রাজস্থানের যোধপুরের সাংসদের বয়স ৪৯ বছর।


 


হরেন্দ্র সিং পুরি


৬৫ বছর বয়সি হরেন্দ্র সিং পুরি মোদীর মন্ত্রিসভায় বেশ প্রবীণই বলা চলে। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন এই কূটনীতিক। জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশনীতিতে তাঁর দক্ষতার ওপর ভরসা করেন সবাই। একাধিক দেশে রাষ্ট্রদূত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এই আইএফএস। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজে পড়াশুনো করেছেন তিনি। কিছু সময় শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।


 


কে আলফোন্স


পেশায় আইনজীবী আলফোন্স কেরল ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএসএস। দিল্লি শহরের হাল ফেরাতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে নেমে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। দেশে শিক্ষার প্রসারে আলফোন্সের অবদান যদিও নজির হয়ে রয়েছে। তিনি জেলাশাসক থাকাকালেই দেশের প্রথম শহর হিসাবে কেরলের কোট্টামে শিক্ষিতের হার ১০০ শতাংশে পৌঁছেছিল।


 


শিব প্রতাপ শুক্ল


উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভা সদস্য শিব প্রতাপ শুক্ল এর আগেও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।