নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার ভয়াবহতা সীমা ছাড়িয়েছে। শ্মশানে নিভছে না আগুন। স্তূপাকার হয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কবরস্থানেও মিলছে না জায়গা। লখনউয়ের বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে ধড়ফড়  করছে বুক।  বিশেষজ্ঞরা বারবার করে জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ঢেউ আরও অনেক বেশি শক্তিশালী। সতর্ক হন। কিন্তু কোথায় কী! দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ঘুরছে মানুষ। যার ছবি বার বার করে ধরা দিচ্ছে বিভিন্ন ছবি- ভিডিওতে। আর যার ফলাফল হচ্ছে মারাত্মক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের অবস্থা খুবই শোচনীয়। সেখানে হাসপাতালে নেই বেড, নেই চিকিৎসক, নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে মানুষের।  ২৪ ঘণ্টাই দাহ হচ্ছে শবদেহ। সম্প্রতি, এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। তারপর তড়িঘড়ি ঢেকে দেওয়া হয় শ্মশানের চারপাশ। কিন্তু তাতে কি লুকিয়ে রাখা সম্ভব?  প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। তাঁদের কথায়, শ্মশানকে করোনা আক্রান্ত এলাকা বলে ঘোষণাও করা হয়েছে। যাতে সে চত্বরে কেউ পা না রাখে, বিন্দুমাত্র টের না পায়, দ্বিতীয় ঢেউয়ের জল কতটা এগিয়েছে!  


স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, লখনউতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তাদের অভিযোগ, করোনা আক্রান্তের যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। মুখ থুবড়ে পড়েছে লখনউয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও পাচ্ছেন না ওষুধ, পাচ্ছেন না ডাক্তার। যার ফলে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হচ্ছে। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডারও মিলছে না। 


প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই। মৃতের সংখ্যা ১০০ পার।