জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণেও সম্মতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত জমির যে অংশ মুসলিমদের দেওয়া হয়েছে, সেখানেই তৈরি হবে মসজিদ। সেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য শোধনের পর মক্কা ও মদিনা থেকে প্রথম ইট এসে পৌঁছল ভারতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুম্বইয়ের একটি ভাটিতে তৈরি ইটগুলি পাঁচজন ভক্ত এসে নিয়ে যান মক্কায়। তারপর মক্কায় ইটগুলি পবিত্র শোধন প্রক্রিয়া করা হয়। ইটগুলি তৈরি করা হয়েছে কালো মাটি দিয়ে। শুধু তাই নয়, গিল্টে মসজিদের নাম এবং কুরানের অনুচ্ছেদ খোদাই করা হয়েছে। ১২ মার্চ রমজান ঈদের পর অযোধ্য়ায় ধন্নিপুরে এইগুলি নিয়ে যাওয়া হবে।


আরও পড়ুন:Indians in Rakhaine: ভয়ংকর পরিস্থিতি, ভারতীয়দের মায়ানমারের রাখাইন ছেড়ে দ্রুত দেশে ফিরতে নির্দেশ বিদেশমন্ত্রকের


মসজিদ মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচার ফাউন্ডেশনের সদস্য হাজি আরাফাত শেখের বাড়িতে ইটগুলি রাখা আছে। পরে তাঁর বাড়ি থেকে ইটগুলি অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া হবে। 


অযোধ্যা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কে হাজি আরফাত শেখ বলেন, 'পীর বা পবিত্র ব্যক্তিরা ইটগুলি নিয়ে বিশাল মিছিলে পায়ে হেঁটে কুরলা থেকে মুলুন্ড অবধি যাবেন। এরপর ইটগুলি ছয়দিনের সড়কপথে লখনউ এবং অবশেষে ধন্নিপুরে যাবে। নামাজের জন্য প্রতি ৩০০ কিলোমিটার যাত্রায় একটি বিরতি থাকবে।'


তিনি আরও বলেন, 'ইটগুলি মক্কার নিকটবর্তী জ্যাম জ্যাম ঝর্ণা থেকে এবং মদিনায় আতর দিয়ে পবিত্র জল দিয়ে ধোয়া হয়।'


আরও পড়ুন:India Myanmar Border Fence: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ১৬৪৩ কিলোমিটার লম্বা বেড়া দেবে কেন্দ্র, ঘোষণা শাহর


অযোধ্যা ধন্নিপুরে নবীর নামানুসারে নতুন মসজিদের নাম হবে মসজিদ মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ। সুফি সাধক সরকার পীর আদিলের একজন বংশধর, যার সমাধি কর্ণাটকের বিজাপুর গোল গুম্বাদের কাছে, তিনি প্রথম ইটগুলি বহন করবেন। তাবলিকি, সুন্নি, দেওবন্দী এবং সুফির মতো বিভিন্ন ইসলামী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা মার্চ মাসে পবিত্র মিছিলে যোগ দেবেন।


মসজিদ নির্মাণের তত্ত্বাবধানের কাঠামোর জন্য পুরানো নকশা বাদ দিয়েছে এবং এটিকে আরও ঐতিহ্যবাহী শৈলী দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বাবরি মসজিদের স্থান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই নতুন মসজিদটিতে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতিনিধিত্বকারী পাঁচটি মিনার থাকবে - কলমা (শপথ), নামাজ (প্রার্থনা), হজ (মক্কার তীর্থযাত্রা), যাকাত (দান), এবং রোজা (উপবাস)।


আরও পড়ুন:PM Modi: UPA আমলে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে এবার শ্বেতপত্র! ভোটের আগে নয়া কৌশল মোদীর?


মসজিদ কমিটি বলেছে যে মসজিদের জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হবে। পোর্টালটিতে QR কোড থাকবে যা নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। 


প্রসঙ্গত হাজি আরাফাত শেখ বলেন, 'মসজিদ কমপ্লেক্সের অংশ হিসাবে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেমন একটি ক্যানসার হাসপাতাল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম এবং একটি নিরামিষ রান্নাঘর। দাতারা এই প্রকল্পগুলির মধ্যে, যেটাতে খুশি অনুদান করতে পারবেন। অনুদানের জন্য QR কোডের পরিষেবা স্বচ্ছ থাকবে।'



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)