`পুলিসে`র একাংশই কীভাবে পুলিসের হাত থেকে রাম রহিমকে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল, জানালেন আইজি নিজেই
ওয়েব ডেস্ক: দোষী সাব্যস্ত হওযার পর পূর্বপরিকল্পিত ভাবে রাম রহিমকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন তাঁর ভক্তরা। এর পিছনে রাম রহিমের হাত ছিল। সেই মতো কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনটাই অভিযোগ করেছে হরিয়ানা পুলিস। আদালত থেকে সেদিন জেলে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছে পুলিস। তাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, রাম রহিম সেদিন যেভাবে পালানোর ছক কষেছিল, তাতে যোগ ছিল পুলিসও। তদন্তকারীদের দাবি, রাম রহিমের নিরাপত্তার জন্য যে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদেরই কয়েকজন এই ছকের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কীভাবে পালানোর ছক কষা হয়েছিল? জানালেন হরিয়ানা পুলিসের আইজি কে কে রাও নিজেই..
পরিকল্পনা ছিল, মামলায় রায় যদি রাম রহিমের বিরুদ্ধে যায় তবে তাঁকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আইজি জানান, গোটাটাই আগে থেকে প্ল্যান করা ছিল। কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর একটি লাল রঙের ব্যাগ চান রাম রহিম। ওইটাই ভক্তদের কাছে একটা সিগন্যাল ছিল। যাতে তাঁর ভক্তেরা আদালত চত্বরে গণ্ডগোল বাধাতে পারেন। সেই মতো গণ্ডগোলও শুরু করেন ভক্তেরা। তা বুঝতে পেরেই ডিসিপি সুমিতের স্করপিও গাড়িতে করে রাম রহিমকে আদালতকক্ষের বাইরে বের করে আনা হয়।
পিছনেই একটি এসইউভি গাড়িতে ছিল রাম রহিমের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই গাড়িতে ইলেকট্রনিক সিগন্যাল জ্যামিংয়ের মতো অত্যাধুনিক ব্যবস্থা ছিল। হঠাত্ই ওই এসইউভিটি গাড়িটি গতি বাড়িয়ে পুলিশের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এর পর গাড়ির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে হরিয়ানা পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনীর কালো পোশাক পরা ছ’জন। যাঁরা রাম রহিমের নিরাপত্তারক্ষার কাজে ছিলেন।
গাড়ি থেকে নেমেই তাঁরা চেঁচাতে থাকেন, 'আমরা পিতাজিকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাব।' এরপর ওই এসইউভিটি গাড়িটির ড্রাইভারকে নির্দেশ দেন, ওই চত্বরে উপস্থিত পুলিশকর্মীদের উপর গাড়ি চালিয়ে দিতে। বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশকর্মী। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় ওই নিরাপত্তারক্ষীদের। এর পর ওই ছ’জনকে পাকড়াও করে ফেলে তাঁরা। রাম রহিমের ভক্তেরা ভাবতেও পারেননি যে নির্দিষ্ট সময়েই অতিরিক্ত পুলিশকর্মী এসে উপস্থিত হয়ে যাবে।হরিয়ানা পুলিশের তত্পরতায় শেষমেশ সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।