নিজস্ব  প্রতিবেদন : কোমর পর্যন্ত গভীর বরফ। তার মাঝে হেলিকপ্টার থেকে লাফ দিয়ে নামছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের কম্যান্ডো বাহিনীর সদস্যরা। গত ৪ এপ্রিলের এই ছবিতেই শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল ভারতের এই পাঁচ বীর সন্তানকে। পরেরদিনই চার সশস্ত্র জঙ্গিকে খতম করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পাঁচ জওয়ান। কেবল পাহাড় ও বরফ সাক্ষী থাকে দেশের জন্য তাঁদের আত্মহূতির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাশ্মীরের কুপওয়ারা অঞ্চলের দূর্গম পার্বত্য এলাকা। যতদূর চোখ যায় শুধুই বরফ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া যায়, এর মধ্যেই লুকিয়ে একাধিক সশস্ত্র জঙ্গি। আর তারপরেই তাদের নিকেষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতীয় সেনার কম্যান্ডো বাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের পাঁচ সদস্যের টিমকে দেওয়া হয় অসাধ্য সাধনের দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, ১ এপ্রিল থেকে অপারেশন 'রান্দোরি বেহাক'-এ পাহাড়জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নামেন সেনাবাহিনীর অন্যান্য টিমও।


আরও পড়ুন: লকডাউনের শেষ দিনে ভারতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৭,০০০! পরিসংখ্যান দেখে কপালে চোখ


প্রসঙ্গত, এই একই ইউনিট ২০১৬ সালে সার্জিকাল স্ট্রাইক সম্পন্ন করেছিল। গত ৪ এপ্রিল কুপওয়ারায় প্রত্যন্ত দূর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নামানো হয় স্পেশাল ফোর্সের ওই পাঁচ সদস্যকে। মোট দুটি স্কোয়াড নামানো হয় জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে। পরের দিনই ৪ জঙ্গির মুখোমুখি হয় পাঁচ সদস্যের স্কোয়াডটি। 


উপরে হালকা বরফের আস্তরণ, তলায় গহ্বর। আর তার মধ্যেই আশ্রয় নিয়েছিল জঙ্গিদলের সদস্যরা। সেই বরফের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়েই তা ভেঙে নিচে একেবারে জঙ্গিদের গায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েন দুই কম্যান্ডো। তাঁকে সাহায্য করতে সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে আসেন স্কোয়াডের বাকি সদস্যরা। মুহূর্তে শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের গুলি বিনিময়। গুলির লড়াই শেষে ক্লোজ কমব্যাট বা খালি হাতে লড়াইয়ের পর্যায় আসে। ৪ জঙ্গিকেই নিকেশ করেন কম্যান্ডোরা। কিন্তু এনকাউন্টারের সময়ে গুরুতর জখম হন ৫ জওয়ান। ধুধু বরফের মাঝে প্রাণ হারান তাঁরা। সেনা সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালানোর চেষ্টা করে এক জঙ্গি সদস্য। তাকে পাকড়াও করা হয়েছে। 


কম্যান্ডো বাহিনীর অপর স্কোয়াডের এক সদস্য জানান, "পরের দিন এক জঙ্গিরই দেহর উপর থেকে আমাদের দলের এক কম্যান্ডোর দেহ উদ্ধার হয়। ৪ জনকে খতম করেই তাঁরা মৃত্যুবরণ করেন"।


আরও পড়ুন: বন্ধুত্ব প্রতিশোধের বিষয় নয়, অন্য দেশকে সাহায্যের আগে নিজেদের দেখা উচিত! টুইটে একহাত রাহুলের