নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবেশ রক্ষার্থে তাঁর প্রতিবাদের ভাষায় চমকে গিয়েছিলেন পরিবেশ ধ্বংসকারীরা। পিছিয়ে গিয়েছিলেন। পরাজয় স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু অতিমারির কাছে তিনি নিজেই পরাজিত হলেন। করোনায় প্রয়াত চিপকো আন্দোলনের (Chipko Movement) প্রাণপুরুষ তথা পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুনা (Sundarlal Bahuguna)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সুন্দরলাল বহুগুনার (Sundarlal Bahuguna) প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় নির্দোষ প্রমাণ, বেকসুর খালাস তেহেলকার প্রাক্তন সম্পাদক Tarun Tejpal


সুন্দরলাল বহুগুনা শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লেখেন, 'সুন্দরলাল বহুগুনার প্রয়াণ এক বিশাল ক্ষতি। প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে বাঁচার পথ দেখিয়েছিলেন উনি। ওঁর সারল্য চিরকাল মননে থাকবে।' রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ লেখেন, ‘সুন্দরলাল বহুগুণার প্রয়াণ এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।' জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। এরপরই হৃষিকেশের AIIMS হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষায় কোভিড নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁর শরীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অক্সিজেন লেভেল কমে যায়। তাঁকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শুক্রবার সকালে প্রয়াত হন 'হিমালয়ের রক্ষাকর্তা'।




আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ১৩ মাওবাদী


১৯৭৩ সালে হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে গাছ কাটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান সুন্দরলাল বহুগুনা। উত্তরাখণ্ডে চিপকো আন্দোলন শুরু হয়। তিনি বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নারী, পুরুষ, পড়ুয়াদের এই বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেন। কয়েক বছরের মধ্যে কয়েক শো গ্রাম চিপকো আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের ফলে সরকার ১৫ বছরের জন্য হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া তিনি তেহরী বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষেও বিক্ষোভ দেখান। ভারত সরকারের তরফে ১৯৮২ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৯ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান পান তিনি।