প্রদ্যুম্নকে খুনের দিন নীলছবি দেখে অভিযুক্ত ছাত্র, চলছিল মানসিক চিকিত্সা
নিজস্ব প্রতিবেদন : গুরগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যম্ন ঠাকুরকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের তিনদিনের সিবিআই হেফাজত হল। মূল অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রের সিবিআই হেফজতের নির্দেশ দিয়েছে গুরুগাঁওয়ের জুভেনাইল জাস্টিস আদালত। আদালতে অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রের কড়া শাস্তির আবেদন জানান প্রদ্যুম্নের পরিবারের আইনজীবী। এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছে প্রদ্যুম্নের পরিবার।
সিবিআই জানিয়েছে, খুনের পরিকল্পনা আগেই করেছিল অভিযুক্ত ছাত্রটি। কিন্তু তার টার্গেট ঠিক ছিল না। প্রদ্যুম্ন টয়লেটে ঢুকতেই তার হাতের কাছে সুযোগ চলে আসে। সিবিআই জানিয়েছে, অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রের ব্যবহারে বেশকিছু সমস্যা ছিল। সেইজন্য গত একবছর ধরে তার মানসিক চিকিত্সাও চলছিল। তদন্তে আরও জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রের পর্নোগ্রাফি দেখার নেশা ছিল। খুনের দিনও সে পর্নোগ্রাফি দেখে। খুনের কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রের কাছে স্কুলের চারজন ছাত্র ও এক শিক্ষক একটি ছুরি দেখতে পায়। স্কুলের টয়লেটের কমোড থেকেও সেই একই ছুরি উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
যদিও, খুনের ঘটনায় তাঁর ছেলেকে জোর করে সিবিআই ফাঁসাচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রের বাবা। তাঁর অভিযোগ, সিবিআই জোর করে তাঁর ছেলেকে দিয়ে স্বীকারোক্তি লিখিয়ে নিয়েছে। তাঁর ছেলের জামায় রক্তের কোনও দাগ ছিল না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
৮ সেপ্টেম্বর গুরগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের গলা কাটা দেহ। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় স্কুলের বাসের খালাসিকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিস। কিন্তু প্রদ্যুম্নের পরিবার বার বারই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়। ২২ সেপ্টেম্বর সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই। অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্র জেরার সময় বার বার বয়ান বদল করাতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারী অফিসারদের।
আরও পড়ুন, রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলছাত্র প্রদ্যুম্ন খুনে গ্রেফতার একাদশ শ্রেণির ছাত্র