নিজেস্ব প্রতিবেদন : হাদিয়া যেহেতু একজন প্রাপ্ত বয়স্কা তাই কেরলের 'লাভ জিহাদ' মামলায় তাঁর বক্তব্য শোনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এই মামলার শুনানির দিন ২৭ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাফিন জাহান নামে এক যুবকের সঙ্গে ২০১৬ সালে বাড়ির অমতে বিয়ে করেন কেরলের বাসিন্দা অখিলা। বিয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অখিলার নাম হয় হাদিয়া। তারপরই হাদিয়ার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে 'লাভ জিহাদে'র এই মামলায় শাফিন জাহানের সঙ্গে হাদিয়ার বিয়ে খারিজের পক্ষে রায় দেয় কেরল হাইকোর্ট। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হাদিয়াকে তাঁর বাবা-মার হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চলতি বছর ১৭ অগাস্ট একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, হাদিয়া প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন। আতঙ্কিত কণ্ঠস্বরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। নইলে যেকোনও সময় মরে যাব। বাবা খুব রেগে আছেন। আমাকে মারধর করছেন। আমার মাথা বা শরীরের কোনও অংশে আঘাত লাগলে আমি মরে যাব..."


আরও পড়ুন- ''আমায় বাঁচাও'', আর্তি 'লাভ জিহাদে'র শিকার কেরলের তরুণীর


কেরল হাইকোর্টে হাদিয়ার বাবা দাবি করেন, শাফিনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ রয়েছে। লাভ জিহাদের মাধ্যমে তাঁর মেয়ের ধর্ম পরিবর্তন করেছেন ওই যুবক। এদিকে, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান শাফিন। এরপরই এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম ধাপের তদন্তের পরই আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ নভেম্বর প্রকাশ্যেই হাদিয়ার জবানবন্দি নেওয়া হবে।