নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক বর্মা। বুধবার ভোর রাতে ডিরেক্টর পদ থেকে অলোক বর্মাকে অপসারিত করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পাশাপাশি লড়াইয়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সিবিআইয়ের নম্বর টু স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা এবং অতিরিক্ত ডিরেক্টর এ কে শর্মাকেও অপসারিত করা হয়। অলোক বর্মার আবেদন সুপ্রিম কোর্ট মঞ্জুর করেছে। জানা যাচ্ছে, ২৬ অক্টোবর এই আবেদনের শুনানি হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের পদে অলোক বর্মার সাময়িকভাবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট-ডিরেক্টরে থাকা নাগেশ্বর রাও। জানা গিয়েছে, আজই ডিরেক্টর পদে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নাগেশ্বর রাও। উচ্চ পদস্থ এক সরকারি আমলা সূত্রে খবর, অলোক বর্মা এবং রাকেশ আস্থানার অপসরানে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনের। তাঁর দাবি, পদে থাকাকালীন সিবিআই দুই কর্তার বিরুদ্ধে স্বস্তঃস্ফূর্ত তদন্ত চালানো সম্ভব ছিল না। সিবিআইয়ের অন্দরে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা সিবিআই তদন্ত করলেও প্রত্যক্ষ তদারকি করবে ভিজিল্যান্স কমিশনই।


আরও পড়ুন- CBI-এর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নাগেশ্বর রাও, ছুটিতে পাঠানো হল ভার্মা-আস্থানাকে


ঘুষ কাণ্ডে সিবিআইয়ে শীর্ষ দুই কর্তার পরস্পরের বিবাদ রীতিমতো চরমে উঠেছে। সিবিআইয়ের অন্দরের আড়াআড়িভাবে তৈরি হয়েছে দুটো শিবির- সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং প্রাক্তন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার। আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় আরও এক তদন্তকারী অফিসার ডিসিপি দেবেন্দ্র কুমার। এরপর দুই কর্তার বিবাদ এতটাই চরমে ওঠে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। অলোক বর্মা এবং রাকেশ শর্মাকে তলব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


আরও পড়ুন- রাকেশ আস্থানাকে গ্রেফতার করা যাবে না সোমবার পর্যন্ত, জানাল আদালত


দেবেন্দ্র কুমার গ্রেফতারির চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অন্য দিকে আস্থানাও দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার না করা হোক। আদালত জানিয়ে দেয়, সোমবার পর্যন্ত আস্থানার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। আস্থানা এবং দেবেন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। সিবিআইয়ে প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।