দেশের অন্যত্র চাপে পড়ছে রোহিঙ্গারা, পশ্চিমবঙ্গ তাদের জন্য কিছুটা `বন্ধুত্বপূর্ণ`: বিএসএফ ডিজি
বাংলাদেশ থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গারা আসেনি বলে দাবি ডিজি-র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের অন্যপ্রান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। সে রাজ্য তাদের জন্য কিছুটা 'বন্ধুত্বপূর্ণ' জায়গা। সেখানে বিশেষ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৭০টি রোহিঙ্গা পরিবার। শুক্রবার এমনটা জানালেন বিএসএফের ডিরেকটক জেনারেল কেকে শর্মা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪,০৯৬ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারির জন্য মোতায়েন রয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বা বিএসএফ। বাহিনীর ডিজি কেকে শর্মার দাবি, খুব বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসতে পারেনি। তাঁর কথায়,''পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি আমরা। বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা এদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারেনি। অনেকে এদেশে আগে থেকেই ছিল। তবে কয়েকটি জায়গায় তারা চাপে পড়েছে। সে কারণে তারা পশ্চিমবঙ্গে চলে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা বন্ধুত্বপূর্ণ জায়গা''।
বাংলাদেশ থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গারা আসেনি বলে দাবি ডিজি-র। তাঁর বক্তব্য, এরা আগে থেকেই এদেশে ছিল। এনিয়ে তদন্তও করেছেন বিএসএফ। শর্মার কথায়, ''দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৭০টি পরিবার সেখানে থাকছে''।
বিএসএফের তত্পরতায় রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশ নিয়ে তত্পর বাংলাদেশও। বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের ডিজি মেজর জেনারেল মহম্মদ সাফিনুল ইসলামের কথায়,''তাদের বাহিনী সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে।বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি''। অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করলও রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করে আবার শিবিরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান মহম্মদ সাফিনুল ইসলাম।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন বিজিবি ও বিএসএফের দ্বিপাক্ষিত বৈঠক হয়। উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের নিয়ে ৬ দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন ইসলাম।
গতবছর নভেম্বরে সাংবাদিক বৈঠকে বিএসএফ ডিজি বলেছিলেন, প্রায় ৩৬০০০ রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করছেন। অনু্প্রবেশের উপরে কড়া নজর রাখছে বাহিনী। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিই সেই তথ্য দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের বিতারণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন- পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস